আফ্রিকার জিবুতির পর এবার কম্বোডিয়াতে নৌ-ঘাঁটি বানাচ্ছে চীন! - মার্কিন সংবাদপত্রের রিপোর্ট

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি কম্বোডিয়ার রিম নৌ-ঘাঁটির উত্তরভাগে নিজেদের সেনাঘাঁটি তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। আর এই কাজ সম্পূর্ণ হলে বিদেশে মোট দুটি নৌ-ঘাঁটির অধিকারী হবে চীন।
আফ্রিকার জিবুতির পর এবার কম্বোডিয়াতে নৌ-ঘাঁটি বানাচ্ছে চীন! - মার্কিন সংবাদপত্রের রিপোর্ট
গ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

কম্বোডিয়ায় নতুন সেনা ঘাঁটি বানাচ্ছে চীন। এমনি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করল মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্ট। তাহলে কী এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও যুদ্ধের দামামা বাজবে? এই প্রশ্ন উঠছে কূটনৈতিক মহলে।

সম্প্রতি আমেরিকার সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয় কম্বোডিয়ায় চীনের নৌ-সেনাঘাঁটি বানানোর খবরটি। ঐ সংবাদপত্রের দাবি, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি কম্বোডিয়ার রিম নৌ-ঘাঁটির উত্তরভাগে নিজেদের সেনাঘাঁটি তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। আর এই কাজ সম্পূর্ণ হলে বিদেশে মোট দুটি নৌ-ঘাঁটির অধিকারী হবে চীন। এর আগে আফ্রিকার জিবুতিতে সেনাঘঁটি বানিয়েছে চীন। বিশ্ব কী আবারও একটা যুদ্ধের সাক্ষী হবে? জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কম্বোডিয়ার অবস্থান দক্ষিণ-চীন সাগরের তীরে। ঐ একই সাগরে রয়েছে তাইওয়ান। তাইওয়ান মূলত অঘোষিত মার্কিন সেনাবাহিনীর অধীনে। কম্বোডিয়াতে যদি সেনা ঘাঁটি তৈরী করা যায় তাহলে আমেরিকার সেনাবাহিনীর উপর নজরদারি সহজ হয়ে যাবে চীনের। তবে মার্কিন সংবাদপত্রে তাইওয়ানের নাম উল্লেখ্য না করলেও এমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলে।

উল্লেখ্য, কিছু বছর আগে এক পশ্চিমা সামরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছিল মায়ানমারের কোকো দ্বীপে শি জিনপিং সরকার গোপন নৌ-সেনাঘাঁটি তৈরি করেছে। যদিও সেই খবর চীন বা মায়ানমার কেউই স্বীকার করেনি। অনেকে মনে করছেন বিশ্ব রাজনীতিতে চীন ধীরে ধীরে নিজেদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নিতে চাইছে।

আফ্রিকার জিবুতির পর এবার কম্বোডিয়াতে নৌ-ঘাঁটি বানাচ্ছে চীন! - মার্কিন সংবাদপত্রের রিপোর্ট
China: সম্পূর্ণ ‘নিজস্ব প্রযুক্তি’তে পৃথিবীর কক্ষপথে মহাকাশ স্টেশন তৈরি করছে চীন

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in