রাশিয়ার পর এবার আমেরিকা, তালিবানদের সাথে আলোচনায় বসতে চলেছে বাইডেন প্রশাসন

প্রসঙ্গত, গত বছর ২৯ ফেব্রুয়ারি দোহায় তালিবানের সঙ্গে আমেরিকার যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, সেই চুক্তি অনুযায়ী, আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হয় ওয়াশিংটন।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

রাশিয়ার পর আমেরিকা। আফগানিস্তানের প্রশাসক হিসাবে তালিবানকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি বিশ্ব। বরং তালিবানকে প্রশাসক হিসাবে মানতে চায় না, এমনই আভাস মিলেছিল। কিন্তু সম্প্রতি উল্টো সুর শোনা যাচ্ছে। রাশিয়া তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রের খবর, এবার তালিবদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে আমেরিকা।

আগস্টে তালিবদের আফগানিস্তান দখলের পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, কোন কোন দেশ আফগানভূমে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে। এখনও পর্যন্ত কেউ তা দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে আগামী তালিবানের সঙ্গে ২০ অক্টোবর বৈঠকে বসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর বিশেষ প্রতিনিধি এমনটাই জানিয়েছিলেন।

এবার তালিবান শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনায় বসছেন বাইডেন প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। তাহলে কি রাশিয়া, আমেরিকা তালিবানকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে? প্রসঙ্গত, গত বছর ২৯ ফেব্রুয়ারি দোহায় তালিবানের সঙ্গে আমেরিকার যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, সেই চুক্তি অনুযায়ী, আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হয় ওয়াশিংটন।

ছবি - প্রতীকী
নতুন সমীকরণ! সরাসরি স্বীকৃতি না দিলেও তালিবানদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে রাশিয়া

এদিকে আফগানিস্তান দখল করলেও সে-দেশে তালিবানের সরকার গড়া খুব সহজ রাস্তায় হচ্ছে না। গত সেপ্টেম্বরে আশরফ ঘানি সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন। তাঁর নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা করে আফগানিস্তানের ইসলামিক প্রজাতন্ত্র।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের উত্থান থেকে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা ভাবিয়ে তুলছে আমেরিকাকে। একই সঙ্গে সেদেশে রাশিয়া ও চিনের প্রভাবও ভাবাচ্ছে ওয়াশিংটনকে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in