রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরেই একাধিক কমনওয়েলথ দেশ নিজেদেরকে প্রজাতান্ত্রিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। তারা চায় ব্রিটেনের রাজা বা রানীর আধিপত্য যেন আর তাদের দেশের ওপর কায়েম না হয়। রাজা তৃতীয় চার্লসের অপসারণের জন্য অ্যান্টিগুয়াতে গণভোটের পরিকল্পনাও চলছে।
অনেকদিন ধরেই কমনওয়েলথ দেশগুলির মধ্যে ব্রিটেনের রাজপরিবারের কর্তৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছিল। সেই ক্ষোভ চরম আকার নিল রানী মারা যাওয়ার পর। কানাডা, গ্রেনাডা, অস্ট্রেলিয়া, পাপুয়া নিউগিনি, অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা সহ মোট ১৪ টি দেশ নিজেদের প্রধান হিসেবে ব্রিটেনের রাজা বা রানিকে মানতে অনীহা প্রকাশ করেছে। এইসব দেশের রিপাবলিকানরা রাজতন্ত্রের পতনের দাবিতে সুর চড়িয়েছে।
অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডার প্রধানমন্ত্রী গাস্টন ব্রাউন শনিবার বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রজাতন্ত্ররূপে আত্মপ্রকাশ করবে আমাদের দেশ। তার জন্যই গণভোটের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমরা চাই আমাদের রাষ্টপ্রধানের পদ থেকে রাজা তৃতীয় চার্লসকে অপসারিত করতে। তিনি এও বলেন, দেশটি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হলে হলে স্বাধীন ও সার্বভৌমের অন্যতম শর্তটাও পূরণ করে ফেলবে। তবে আমরা কমনওয়েলথের মধ্যেই থাকব।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্ট ১৫ দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু আবার পার্লামেন্ট খোলা হবে বলেই শোনা যাচ্ছে। প্রজাতন্ত্র বিষয়ে একাধিক আলোচনা হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার পাশপাশি নিউজিল্যান্ডেও প্রজাতন্ত্রের দাবি জোরালো হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র বার্বাডোস, আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদেরকে বিশ্বের নতুন ‘প্রজাতন্ত্র’ হিসাবে ঘোষণা করেছে। প্রিন্স চার্লসের উপস্থিতিতেই একটি অনুষ্ঠানে নিয়মমাফিক রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে অপসারণ করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন সান্ড্রা মাসন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন