২০১৯ সালে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যখন আমেরিকার যুদ্ধ চলছিল, তখন গোপনে সিরিয়ায় বিমান হানা চালানো হয়। রিপোর্টে এই বিষয়টি আমেরিকার সেনাবাহিনী বাদ দিয়ে দেয়। সেই ঘটনায় ৬৪ জন মহিলা ও শিশুর মৃত্যু হয়। এমনটাই দাবি করে দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের শামিল।
আরও বলা হয়েছে, সিরিয়ায় স্থল অভিযানের দায়িত্বে থাকা আমেরিকান স্পেশাল অপারেশন্সের গোপন ইউনিট পরপর দু’টি বিমান হামলা চালানোর নির্দেশ দেয়। এই ঘটনার তত্ত্বাবধানে ছিল আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ড। চলতি সপ্তাহে প্রথম তারা হামলার কথা স্বীকার করে। তাদের দাবি, এই হামলা যথেষ্ট 'ন্যায়সঙ্গত’।
আমেরিকান সেন্ট্রাল কমান্ড যে বিবৃতি দিয়েছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে, ১৬ জন আইএস যোদ্ধা এবং চার জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। নিহত মোট ৮০ জনের মধ্যে বাকিরাও সাধারণ নাগরিক কিনা, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে।
সেন্ট্রাল কমান্ডের বক্তব্য, ‘নিরাপরাধ মানুষের মৃত্যুকে আমরা ঘঘৃণা করি। তা ঠেকাতে যথাযথ পদক্ষেপ করি। আমাদের নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত ভাবে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার দায়িত্ব নিচ্ছি।' তাদের দাবি ভিডিওতে অস্ত্রধারী বহু মহিলা ও একটি শিশুকে দেখা গিয়েছিল। তাই প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে ধন্দ রয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু তদন্ত রিপোর্টে বোমা ফেলার বিষয়টি ছিল না। গোপন নথি গোপন রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। শুধু একতরফা ভাবে নয়, ঘটনাটির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িতদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন