সাম্প্রতিক সময়ে বিরাট জয় ছিনিয়ে নিলেন আমাজনের কর্মীরা। নিউ ইয়র্ক সিটির স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের জেএফকে ৮ ওয়ার হাউসে ভোটাভুটির মাধ্যমে ইউনিয়ন করার অধিকার অর্জন করলেন সংস্থার কর্মীরা। সংস্থার ৫৫ শতাংশ কর্মী ভোটাভুটিতে ইউনিয়ন গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন। ইউনিয়ন গঠনের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৩০০। যেখানে ইউনিয়ন চাননি ১৮৫৫ জন কর্মী। একথা জানিয়েছে ন্যাশনাল লেবার রিলেশনস বোর্ড (এনএলআরবি)।
আমেরিকায় গত বছরেই বিভিন্ন সংস্থায় কর্মী ইউনিয়নে সদস্য সংখ্যা কমেছিলো ১০.৩ শতাংশ। সেই পরিস্থিতিতে আমাজনে কর্মীদের এই জয় শ্রমিক আন্দোলনে নতুন দিশার ইঙ্গিত দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে আমাজনের সঙ্গে যুক্ত ১.৬ মিলিয়ন কর্মী। নিউ ইয়র্ক সিটির ওয়ারহাউসে এই জয়ের পর অন্যান্য শাখাতেও দ্রুত ইউনিয়ন গড়ে উঠবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
আমেরিকার বৃহত্তম অনলাইন খুচরা বিক্রেতার এই ওয়ারহাইসে ইউনিয়নের অধিকার পাওয়ায় দেশের অন্যান্য সংস্থাতেও ইউনিয়ন তৈরির বিষয়ে এগোনো যাবে বলে মনে করছেন বিভিন্ন ইউনিয়ন নেতৃত্ব। আমাজনে শ্রমিক সংগঠনের এই জয়ের পর বিভিন্ন সংস্থায় সংগঠিতভাবে ইউনিয়ন গড়ে তোলা যাবে বলেও তাঁরা মনে করছেন।
সদ্য প্রতিষ্ঠিত আমাজন লেবার ইউনিয়নের (এএলইউ) পক্ষ থেকে শ্রমিকদের কাজের উপযুক্ত পরিবেশ, মজুরি বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আমাজন কর্মীদের এই ইউনিয়নের নেতা সংস্থারই এক প্রাক্তন ছাঁটাই হওয়া কর্মী ক্রিশ্চিয়ান স্মলস। যাকে ইউনিয়ন তৈরির চেষ্টা এবং শ্রমিক বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেবার কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে ছাঁটাই করে আমাজন কর্তৃপক্ষ।
২০১৮ সাল থেকে আমাজনে উৎপাদন ভিত্তিক বোনাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে বোনাস ফিরিয়ে আনবার জন্য লড়াই চালাবে নতুন ইউনিয়ন। এছাড়াও সংস্থার কর্মীরা বর্তমানে ঘণ্টাপিছু ১৮ ইউএস ডলার করে মজুরি পান। যে মজুরি ঘণ্টায় ৩০ ইউএস ডলার করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ইউনিয়নের নেতা ক্রিশ্চিয়ান স্মলস।
আমাজনে এই ভোটাভুটির আগে প্রচার চালানো হয়েছে ট্যুইটার সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। ব্যবহার করা হয়েছে টিকটক-ও। যদিও আমেরিকার কোনও প্রতিষ্ঠিত ইউনিয়ন নেতৃত্ব ও প্রতিনিধিদের এই নির্বাচনে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন