ইউরোপের বিভিন্ন দেশ রাশিয়া থেকে কম দামে তেল কিনতে শুরু করেছে। এতে ভারতের সুবিধাই হয়েছে। আমেরিকার অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্য্যেঅবশ্য তেলআমদানির বিষয়ে বাদ রাখা হয়েছে। ভারত তেল কিনবে বলে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে। এই আবহে ‘অস্বস্তিতে’ রয়েছে আমেরিকা।
সম্প্রতি কূটনৈতিক বিচারে দেখলে ভারতের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে আমেরিকার। কিন্তু ইউক্রেনের ওপর হামলার জেরে যখন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি রাষ্ট্রসঙ্ঘের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তখন ভোটাভুটিতে বারবার নিজেকে সরিয়ে রেখেছিল ভারত। চীনও অবশ্য ভোটদান করেনি।
এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি চাইছে, রাশিয়া থেকে কম দামে তেল কিনতে। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ করবে, সেদিকেই তাকিয়ে সবাই। এর আগে ওয়াশিংটন জানিয়েছিল, রাশিয়া থেকে ভারত যদি তেল কেনে, তা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়বে না।
পাশাপাশি বাইডেন প্রশাসন স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনুক, তা পছন্দ নয় তাদের। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছিলেন, ‘ভারত সিদ্ধান্ত নিক যে তারা ইতিহাসের কোন দিকে থাকতে চায়।’
গতকাল তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন স্তরে ভারতের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এখনও কিছু বলেননি। যদি এমনটা হয়, তাহলে আপনাদের তা জানানো হবে।’ এর আগে ভারত সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ভারতে জ্বালানির চাহিদা রয়েছে। এটিকে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা ঠিক হবে না।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করার ক্ষেত্রে ভারত আগ্রহী। তেলের দাম মেটানোর ক্ষেত্রে পুরোনো রুপি-রুবল ব্যবস্থাটি চালু করা যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। ডলারকেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান মুদ্রা হিসাবে গণ্য করা ঠিক কি না, তা নিয়ে বিস্তর ভাবনা শুরু হয়েছে। সৌদি আরব ইতিমধ্যেই চীনের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছে, ইয়ানের মাধ্যমে তেল বিক্রির জন্য।
বর্তমান অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির জেরে অর্থনীতি সামাল দিতে কম দামে তেল-সহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। স্বভাবিক ভাবে এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না ভারত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন