চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৭০ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। জেলে বন্দী রয়েছেন অসংখ্য সংবাদ মাধ্যমের কর্মী। এছাড়া, অনেক সাংবাদিককে মৃত্যুর হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার, রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।
আগামী ২ নভেম্বর, বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভাবে পালিত হবে দিনটি। তার আগে গুতেরেসের এই আহ্বান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেছে কূটনৈতিক মহল।
সোমবার, রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রের সুরক্ষার জন্য একটি স্বাধীন সংবাদপত্র আবশ্যক। অন্যায়কে প্রকাশ্যে আনতে, জটিল সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে এবং মজবুত উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মুক্ত গণমাধ্যমের গুরুত্ব অপরিসীম।’
তিনি বলেন, ‘তবুও সমাজে এই ভূমিকা পালন করার জন্য এই বছর ৭০ জনেরও বেশি সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু, এই অপরাধের বিচার হয়নি। বেশিরভাগই অমীমাংসিত অবস্থায় রয়েছে। আর এদিকে, সাংবাদিকদের গ্রেফতার, তাঁদের উপর হিংসা ও মৃত্যুর হুমকির ঘটনা বেড়ে চলেছে।’
এই প্রবণতা সবথেকে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে মহিলা সাংবাদিকদের প্রতি। এছাড়া, ঘৃণাসূচক বক্তব্য ও ভুয়ো খবর ছড়িয়ে বিশ্বজুড়ে সংবাদকর্মীদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আইনি এবং আর্থিক অপব্যবহারের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে শক্তিশালীদের জবাবদিহি করার চেষ্টাকে দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রবণতা শুধুমাত্র সাংবাদিকদের নয়, সমগ্র সমাজকে হুমকির মুখে ফেলেছে।’
‘সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমি সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের অবশ্যই দায়মুক্তির একটি সাধারণ সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাজ করার জন্য সাংবাদিকদের সক্ষম করে তুলতে হবে।’
একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'আসুন আমরা, এই আন্তর্জাতিক দিবসে (২ নভেম্বর) মিডিয়া কর্মীদের সম্মান করি এবং সকলের জন্য সত্য, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়াই।'
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে Reporters Without Borders, বা RSF দ্বারা প্রকাশিত প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ভারত ১৫০ তম স্থানে রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন