দেখতে দেখতে ৫০ বছর অতিক্রম করলো বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের আজকের দিনেই পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ। দীর্ঘ লড়াই, রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর আকাশে উড়েছিল লাল-সবুজের ঝান্ডা। আজ সেই বিজয় দিবসের ৫০ বছর, সুবর্ণ জয়ন্তী।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মুক্তিবাহিনী এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের যৌথ নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য। আত্মসমর্পণের দলিলে সই করেছিলেন যুদ্ধে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমীর আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সই করেন মিত্রবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিগজিৎ সিং অরোরা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যে লড়াই শুরু হয়েছিল, ৯ মাস পর ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে সাফল্য পায় সেই মুক্তিযুদ্ধ। আজ সেই সাফল্যের ৫০ বছর। লাল-সবুজ পতাকা লাভের ৫০ বছর।
আজ ভোর থেকে মুক্তিযুদ্ধে নিহত সেনাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মীত জাতীয় সৌধে চলছে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল স্তরের মানুষ আজ শ্রদ্ধা জানাবেন এই স্মৃতিসৌধে। আজ বিকেল ৪টায় দেশবাসীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনার মতে, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ যা কিছু অর্জন করেছে তা তাঁর পিতা মুজিবুর রহমান এবং তাঁর দল আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। তিনি বলেন, "আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে।"
বাংলাদেশের বিজয় দিবসের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে সেখানে উপস্থিত রয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গত ৫০ বছরে সমস্ত ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগতি তুলে ধরতে দু'দিনের একটি কর্মসূচি নিয়েছে হাসিনা সরকার। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রামনাথ কোবিন্দ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন