একেই কি বলে আচ্ছে দিন! দেশের মাথাপিছু রোজগার ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশও! এমনটাই দাবি করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রী। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় চূড়ান্ত ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার। তার ফলে দেশে তো সমালোচিত হতে হচ্ছেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে। বাদ যাচ্ছে না বহিঃবিশ্বও। আন্তর্জাতিক মহলেও চূড়ান্ত সমালোচিত হচ্ছে ব্র্যান্ড মোদি। দেশের অর্থনীতির গতি ক্রমশ নিম্নমুখী। মোদির ব্র্যান্ড ভ্যালু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির অন্দরমহলে। এই পরিস্থিতিতে মাথাপিছু আয়ে (Per Capita Income) ভারতকে টেক্কা দেওয়ার এই ঘোষণা স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে কেন্দ্রকে।
অনেকেই বলছেন, গত বছরের আইএমএফের পূর্বাভাস একেবারে হাতেনাতে মিলে গেল। মাথাপিছু আয় কী? অর্থনীতির ভাষায় বললে মাথাপিছু আয় হল নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় বসবাসকারী সকলের গড় আয়। দেশের জাতীয় আয়কে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে মাথা পিছু আয় পাওয়া যায়। তবে এই বিষয়েও কেন্দ্র এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি। বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রকের মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সেদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলার হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য বছরে ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৭৩ টাকা। গত বছর বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। এবার মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৬৩ ডলার বা শতাংশের হিসাবে ৯ শতাংশ বেশি।
বর্তমানে ভারতের মাথা পিছু আয় ১,৯৪৭ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের তুলনায় ২৮০ মার্কিন ডলার কম। উল্লেখ্য, গত বছর আইএমএফ এক রিপোর্টে বলেছিল, ২০২০ সালে চলতি বাজারমূল্যে মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতকে টেক্কা দেবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৮৮৮ ডলারে পৌঁছবে। অন্যদিকে, ভারতে এটি কমে হবে ১ হাজার ৮৭৭ ডলার। আইএমএফের রিপোর্টকে গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্র। কিন্তু সেই রিপোর্ট বাস্তব হওয়ায় ফের শোরগোল শুরু হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন