বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আন্দোলনের পর আমেরিকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল সেই ইস্যুতে মুখ খুললো হোয়াইট হাউস। সোমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারিন জা পিয়ের জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সরকার বদল এবং সাম্প্রতিক আন্দোলনের ঘটনায় কোনও হাত নেই আমেরিকার। যদিও এর আগে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, বাংলাদেশের আন্দোলন এবং সরকার পতনে আড়াল থেকে কলকাঠি নেড়েছে আমেরিকা।
সম্প্রতি ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, আমেরিকার অদৃশ্য হস্তক্ষেপেই বাংলাদেশে আন্দোলন এবং সরকারের পতন ঘটেছে। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। হাসিনা নাকি জানিয়েছিলেন, মূল বিতর্ক সেন্ট মারটিন দ্বীপ নিয়ে। ওই দ্বীপ আমেরিকার হাতে তুলে না দেওয়ায় বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে সরকার ফেলে দেওয়া হয়েছে।
শুধু সংবাদমাধ্যমেই নয়, ক্ষমতাসীন থাকার সময় বাংলাদেশের সংসদে দাঁড়িয়েও একই অভিযোগ করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদে তিন বলেছিলেন, সেন্ট মারটিন দ্বীপ নেবার চেষ্টা করছে আমেরিকা। তিনি আরও জানান, তাঁকে বলা হয়েছে ওই দ্বীপ ছেড়ে দিলে কেউ তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। ২০২৩ সালের এপ্রিলেও হাসিনা জানিয়েছিলেন তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।
এরপরেই হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের ঘটনায় আমেরিকার কোনও হাত নেই। হাসিনা সরকারের পতনের বিষয়ে আমেরিকার যুক্ত থাকার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই রিপোর্ট সত্যি নয়। বাংলাদেশের জনগণের আন্দোলনের কারণেই সেখানে সরকারের পতন ঘটেছে।
যদিও এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর মাসে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছিল, “বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আশঙ্কার গুরুতর কারণ রয়েছে। আগামী সপ্তাহগুলিতে, বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন চাপের কৌশল সহ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “জনগণের ভোটের ফলাফলে যদি মার্কিনিরা সন্তুষ্ট না হয় সেক্ষেত্রে, “আরব বসন্ত”-এর মত কোনও আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টার সম্ভাবনা রয়েছে। রাশিয়ান বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে মারিয়া জাখারোভা একথা জানিয়েছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন