বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের করা একটি মন্তব্য নিয়ে ফের উত্তাল বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। তবে রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করবেন কিনা তা এখনও চূড়ান্ত নয়।
বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপসারণ চেয়ে কয়েকমাস আগে উত্তাল হয়েছিল বাংলাদেশ। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল জে তড়িঘড়ি দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছিল হাসিনাকে। এরপর বহু নৃশংস হত্যাকাণ্ড, অত্যাচারের ঘটনাও সামনে এসেছিল। ফের একবার সেই স্মৃতি ফিরতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুনরায় অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র তাঁর কাছে নেই। তারপরই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চেয়ে ফের রাজপথে নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে নতুন করে অশান্ত পরিস্থিতি চাইছে না কোনও রাজনৈতিক দলই। বুধবার যা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মহম্মদ ইউনুসের সাথে বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা। তাঁদের দাবি, নতুন করে পরস্থিতি উত্তপ্ত হতে দেওয়া উচিত হবে না।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা যায়, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না এই প্রশ্নটি এখন বাংলাদেশে কোনও সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়। এটা একেবারেই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সরকার এ বিষয়ে আলোচনা করছে। সকলে শান্ত থাকুন'।
রাষ্ট্রপতির মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির বিপক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টিও (সিপিবি)। তাদের বক্তব্য, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন কিনা এই মন্তব্য এখন গুরুত্বহীন। এই সমস্ত কথা ভুলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি দরকার, দেশে পরবর্তী নির্বাচন কীভাবে হবে সেইসব নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয় নিয়ে সরকারি আধিকারিকরা একটি বৈঠকে বসবেন। সেই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের জনগণ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন