টুইটার (Twitter) অধিগ্রহণের জন্য এলন মাস্কের (Elon Musk) নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden)।
শুক্রবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়েসের রোসেমন্ট শহরে- ডেমোক্রেটিক প্রতিনিধি লরেন আন্ডারউড (Lauren Underwood) এবং শন কাস্টেনের (Sean Casten) জন্য এক তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বাইডেন। সেখানে তিনি বলেন, 'এলন মাস্ক এমন একটি জিনিস কিনেছেন, যা সারা বিশ্বজুড়ে মিথ্যা ছড়ায়।'
এরপরেই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, 'এতে আমরা সবাই শঙ্কিত। কারণ, আমেরিকায় এখন আর কোনো সম্পাদক নেই। (এই সংস্থার) কোনো সম্পাদক নেই।
সম্প্রতি, টুইটার অধিগ্রহণের পর- এই প্ল্যাটফর্মকে 'মতপ্রকাশের স্বাধীনতার স্বর্গ' হিসেবে গড়ে তোলার যে ঘোষণা দেন এলন মাস্ক। শুক্রবার, সেদিকে ইঙ্গিত করে বাইডেন বলেন, 'আমাদের বাচ্চারা এখন ঝুঁকিতে রয়েছে। তারা যে (টুইটারের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার) ব্যাপারটি বুঝবে— তা আমরা কীভাবে আশা করব?'
এরপরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জিন-পিয়েরে সাংবাদিকদের জানান, 'টুইটার কেনার পর এই সোশ্যাল মিডিয়াটিকে নতুন করে সাজানোর ব্যাপারে মাস্ক যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতাশ।'
এদিকে, একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছে কমপক্ষে ৪০ সংস্থার একটি গ্রুপ। যেখানে টুইটারের (Twitter) প্রথমসারির ২০ টি বড় বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে- টুইটারকে অর্থ সাহায্য বন্ধের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে- এই প্ল্যাটফর্মটি 'ঘৃণা ও বিভ্রান্তির মধ্যে ডুবে রয়েছে।'
জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টুইটারে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এই লক্ষ্যে একটি 'বিষয়বস্তু মডারেশন কাউন্সিল' তৈরি করার কথা জানিয়েছেন এলন মাস্ক।
টেসলার সিইও (Tesla CEO) মাস্ক বলেছেন, 'নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য কাউকে ডি-প্ল্যাটফর্ম করার অনুমতি দেবে না টুইটার।' শুক্রবার তিনি টুইটারে জানান, 'কোনো বিষয়ে সঠিক তথ্য সেন্সর করবে না টুইটার।'
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর, টুইটার অধিগ্রহণের পরেই কর্মচারী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে এলন মাস্ক। সংস্থা থেকে বাদ দিয়েছেন সিইও পরাগ আগরওয়াল (CEO Parag Agrawal), সংস্থার চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার নেড সেগাল (CFO Ned Segal), সংস্থার প্রধান আইনি প্রধান (পলিসি ও ট্রাস্ট) বিজয়া গাড্ডে (Vijaya Gadde) এবং টুইটারের পরামর্শদাতা শন এজেটকে (Sean Edgett)।
আর, সেই রেশ না কাটতেই শুক্রবার, ট্যুইটার থেকে আরও ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। আর, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ, কর্মীদের আগাম লিখিত নোটিশ না দিয়ে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের পথ বেছে নিয়েছে টুইটার।
এ নিয়ে- ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিসকো ফেডেরাল আদালতে টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালতে মামলাকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, 'ফেডেরাল ওয়ার্কার অ্যাডজাস্টমেন্ট অ্যান্ড রিট্রেনিং অ্যাক্ট'-র নিয়মানুযায়ী বড় কোম্পানিগুলিকে ছাঁটাইয়ের ৬০ দিন আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করার কথা। কিন্তু, এক্ষেত্রে তা করেনি টুইটার।
With Inputs IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন