ইউক্রেনের যুদ্ধ বাইডেন আটকাতে পারেনি, একইভাবে তাইওয়ানকেও বাঁচাতে পারবে না - ট্রাম্প

আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘ইউক্রেনে পুতিন সফল হলেই চিন হামলা চালাবে তাইওয়ানে। তখনও এভাবেই বাইডেন হাত গুটিয়ে বসে থাকবে।’
ট্রাম্প, বাইডেন
ট্রাম্প, বাইডেনফাইল চিত্র
Published on

খুব শীঘ্রই হামলা হতে চলেছে তাইওয়ানে। হামলা চালাবে চিন। রাশিয়ার হাতে একপ্রকার বিপর্যস্ত ইউক্রেন। সেরকম পরিস্থিতিই হতে চলেছে তাইওয়ানে। খুব শীঘ্রই যুদ্ধ হতে চলেছে। এমনই সতর্কবাণী শোনালেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ বাইডেন আটকাতে পারেনি। একইভাবে, তাইওয়ানকেও বাঁচাতে পারবে না।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আজ আট দিন হল। এখনও রাজধানী কিয়েভের দখল নিতে পারেনি রাশিয়া। এদিকে আমেরিকা সরাসরি যুদ্ধে সাহায্য করেনি ঠিকই। কিন্তু ইউক্রেনের জন্য অস্ত্রশস্ত্রের পাশাপাশি ভারতীয় মূদ্রায় প্রায় দু’হাজার ৬৬৩ কোটি টাকার আর্থিক ঋণ মকুব করেছে। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘শি (জিনপিং) এখন রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে মজা নিচ্ছেন। তিনি ভাবছেন আমেরিকা কী বোকা। আমি নিশ্চিত এসব দেখে তাইওয়ানে হামলার পরিকল্পনা তারা একরকম পাকা করে ফেলেছে।’

বাইডেন প্রশাসন ব্যর্থ। তার প্রমাণ দিতে গিয়ে সেই দায়িত্বের কথাই টেনে এনেছেন ট্রাম্প। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘ইউক্রেনে পুতিন সফল হলেই চিন হামলা চালাবে তাইওয়ানে। তখনও এভাবেই বাইডেন হাত গুটিয়ে বসে থাকবে।’

ট্রাম্প অবশ্য নিশ্চিত, আজ তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকলে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ হত না। তিনি যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর সঙ্গে এমন করতেই পারতেন না। এর আগেও রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্ব নিয়ে আমেরিকার রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট সমালোচনা হয়।

সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনও ট্রাম্প এক বার পুতিনের পক্ষে কথা বলেন। তারপর অবশ্য ট্রাম্প ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে রাশিয়ার সমালোচনা করেন। উল্লেখ্য, আমেরিকানদের একাংশ রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে বাইডেনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেই আবেগকেই নিজের পক্ষে ট্রাম্প কাজে লাগাতে চাইছেন।

প্রসঙ্গত, চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দক্ষিণ চীন সমুদ্রের দ্বীপ তাইওয়ান নিজেদের স্বায়ত্বশাসিত রাষ্ট্র বলে দাবি করে। আসলে তাইওয়ানের নিরাপত্তার জন্য সরকারি ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত খোদ আমেরিকা। ১৯৭৯ সালেই একটি আইনের মাধ্যমে তাইওয়ানকে সরাসরি আমেরিকার নিরাপত্তার অধীনে আনা হয়।

এদিকে, চীন মনে করে তাইওয়ান চীনেরই অঙ্গ। তাইওয়ান বহু বার নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে চেয়েছে। কিন্তু তাইওয়ানের সেই দাবি বারবার রুখে দিয়েছে চীন। তবে ঐতিহাসিকভাবে তাইওয়ান চীনের অংশ বলেই জানা যায়। ১৯৪৯ সালের গৃহযুদ্ধে মাও সে তুং-র নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বাহিনীর কাছে চিয়াং কাইশেকের নেতৃত্বাধীন কুওমিনতাং গোষ্ঠী পরাজিত হয়ে তাইওয়ানে চলে যায়।

ট্রাম্প, বাইডেন
Azov Battalion: ইউক্রেন বিশ্বের একমাত্র দেশ, যাদের সেনাবাহিনীতে আছে ঘোষিত নাৎসিরা

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in