ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অতি দক্ষিণপন্থী হিসেবে রাজনৈতিক মহলে পরিচিত, জেয়ার বোলসোনারোর ভোটে লড়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হল। আগামী আট বছর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কোনো ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। ব্রাজিলের সুপ্রিম ইলেকটোরাল কোর্ট এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বামপন্থী প্রার্থী লুলা দ্য সিলভার কাছে পরাজিত হন জেয়ার বোলসোনারো। ভোটে পরাজয়ের পর তাঁর সমর্থকরা ব্রাজিলের সংসদ আক্রমণের চেষ্টা করেন। নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দক্ষিণপন্থী নেতা।
বোলসোনারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গত বছরের ১৮ জুলাই বেশ কিছু বিদেশী অতিথির সামনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কীভাবে ইভিএম জালিয়াতি হয়েছে তা তুলে ধরেন। যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা হয়।
জানা গেছে, এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারবেন জেয়ার বোলসোনারো। কিন্তু যদি তাঁর দাবি খারিজ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আগামী ২০৩০-এর আগে তাঁর পক্ষে কোনো নির্বাচনে লড়া সম্ভব হবে না। এই সময়ের মধ্যে ব্রাজিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, পুর নির্বাচন সহ একাধিক নির্বাচন আছে।
ব্রাজিলের ইলেক্টোরাল কোর্টের পাঁচ বিচারক সহমত পোষণ করে জানিয়েছেন, জেয়ার বোলসোনারো পদের অপব্যবহার করে দেশের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিদেশী অতিথিদের সামনে প্রশ্ন তুলেছেন।
ব্রাজিলের রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে জেয়ার বোলসোনারোর রাজনৈতিক জীবনে এখানেই ইতি পড়ে যাবে। কারণ তাঁর পক্ষে আগামী ৮ বছর আর কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব হবে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন