অক্টোবরে ব্রাজিলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগেই সামনে এসেছে একটি জনমত সমীক্ষা। এতে এগিয়ে রয়েছেন ব্রাজিলের জনপ্রিয় বাম নেতা তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা। বুধবার, সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, সম্প্রতি ব্রাজিলের এমডিএ ইনিস্টিটিউট একাটি সমীক্ষা চালিয়েছে। এতে ৪০.৬ শতাংশ ভোটারদের সমর্থন পেয়েছেন বাম নেতা লুলা দ্য সিলভা। তারপরেই রয়েছেন ব্রাজিলের বর্তমান রাষ্ট্রপতি জাইর বোলসোনারো। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৩২ শতাংশ ভোটারদের সমর্থন।
সূত্রের খবর, জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম থেকেই বলসোনারোকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছেন বাম নেতা লুলা দ্য সিলভা। তবে, গত কয়েক মাসে দুই নেতার মধ্যে জনপ্রিয়তার ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। জানা যাচ্ছে, গত ফেব্রুয়ারিতে এক জনমত সমীক্ষায় ওয়ার্কার্স পার্টির (পিটি) প্রার্থী লুলার দখলে ছিল ৪২.২ শতাংশ জন সমর্থন। অন্যদিকে, লিবারেল পার্টির (পিএল) নেতা বোলসোনারোর পক্ষে ছিল ২৮ শতাংশ জন-সমর্থন। এসময় দুই নেতার মধ্যে জনপ্রিয়তার ব্যবধান ছিল ১৩.৮ শতাংশ। কিন্তু, দু’মাসের ব্যবধানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৬ শতাংশ।
শুধু ওয়ার্কার্স পার্টি (পিটি) বা লিবারেল পার্টি (পিএল) নয়, এবার ব্রাজিলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন ডেমোক্রেটিক লেবার পার্টি (পিডিটি)-র প্রার্থী সিরো গোমেস। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মাত্র ৭.১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন। এছাড়া আছেন ব্রাজিলিয়ান সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টি (পিএসডিবি)-র প্রার্থী জোয়াও ডোরিয়া। তিনিও পেয়েছেন ৩.১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন। প্রসঙ্গত,অক্টোবর মাসে নির্বাচন। প্রতিটি দলের কাছেই ৪ মাস সময় বাকি আছে। এই সময়কাল পেরিয়ে কোন দল শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করবে, সে দিকে নজর তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল। তবে, গত ৭ মে সাত-দলীয় জোট লুলার প্রার্থী পদ ঘোষণার পরেই ব্রাজিলে নতুন উন্মাদনা তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, লুলা দ্য সিলভা এর আগে বেশ কয়েকবার রাষ্ট্রপতির পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তিনি ২০০২ এবং ২০০৬ সালে জয়ের আগে তিনবার পরাজিত হয়েছিল। ২০১৮ সালে, তিনি ষষ্ঠ বারের জন্য নির্বাচন লড়েছিলেন, কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় নির্বাচনের এক মাস আগে তাকে অযোগ্য প্রার্থী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে ২০২১ সালে এই অভিযোগ ফেডারেল সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করে দেয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন