ব্রিটেনের রেলওয়ে কর্মীরা আগামী ২৭শে জুলাইয়ে, ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ একদিনের জন্য ধর্মঘটে সামিল হবেন। ইউনিউনের বক্তব্য অনুযায়ী, বেতন-ভাতা সহ একগুচ্ছ দাবিতে হবে এই গ্রীষ্মের সবচেয়ে বড় ধর্মঘট।
ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ রেলের, মেরিটাইম অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্সদের তরফে জানানো হয়েছে যে, কর্মীরা ‘নেটওয়ার্ক রেল’-এর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এই কর্মীরাই UK -এর রেলকাঠামো পরিচালনা করে। বুধবার, পরিবহন বিভাগের উচ্চ বেতনভোগী কর্মীরও ওইদিনের (২৭ জুলাই) ধর্মঘটে যোগ দেবেন।
গত জুন মাসে, ৩ দিন ব্যাপি রেল ধর্মঘটের ফলে UK জুড়ে রেলভ্রমণ মূলত বন্ধ হয়ে যায়। এটি ছিল গত ৩০ বছরের মধ্যে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় রেল ধর্মঘট। অন্যদিকে, ব্রিটেনের রেল ড্রাইভার ইউনিয়নও ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে।
RMT (রেল ইউনিয়ন), বেতনের প্রস্তাবকে ‘তুচ্ছ’ বলে অভিহিত করেছে। তাদের দাবি, ‘নেটওয়ার্ক রেল’ প্রথম বছরে ৪% বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছিল এবং দ্বিতীয় বছরেও সম্ভাব্য ৪% বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাবের ভিত্তিতে সদস্যদের নতুন শর্তাবলী দেওয়া হয়। বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমে নতুন শর্তাবলী গ্রহণ করানো ছিল শর্তসাপেক্ষ বিষয়। টেকনিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড এন্ড সেফটি ওথারিটি (TSSA) বলেছে, জুনের শেষে ভোটের ফলাফলের পরেও নতুন কোনও প্রস্তাব না পেয়ে তাঁরা ‘শেষ অবলম্বন’ হিসাবে এই পদক্ষেপ ( ধর্মঘট) নিয়েছে।
UK -এর পরিবহন বিভাগের সেক্রেটারি গ্রান্ট শ্যাপস, আসন্ন ধর্মঘটের হুমকিকে সমালোচনা করে বলেছেন, RMT-কে একটি ‘ন্যায্য চুক্তি’ দেওয়া হয়েছে। শ্যাপস আরও বলেছেন, RMT ইতিমধ্যেই আরও ভয়াবহ ধর্মঘটের রাস্তায় নেমেছে। যা দেশের মানুষের জন্য আরও দুর্দশার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই ধর্মঘট এয়ারলাইনস এবং বিমানবন্দরগুলিকেও প্রভাবিত করছে।
প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে মুদ্রাস্ফীতি। প্রতিদিনই বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। যা গত ৪০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বেকারত্বের পাশাপাশি চাকরি ছাঁটাই লেগেই আছে। কিন্তু, রেলকর্মীদের বেতন বাড়েনি।
রেল ইউনিয়নের বেতনবৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেল ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পাল্টা লাগাতার ধর্মঘটের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে যেকোন সময় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি তারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন