পদত্যাগ করতে চলেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গোটা কয়েকদিনে তাঁর মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন। এমনকি তাঁর কনজারভেটিভ পার্টির একাধিক জন প্রতিনিধিও তাঁর হাত ছেড়ে দিয়েছেন। পদত্যাগ করা সকল জন প্রতিনিধির অভিযোগ, দেশ চালানোর জন্য উপযুক্ত নন বরিস। এই পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই তাঁর সামনে।
সূত্র মারফত জানা গেছে, শেষ কয়েক ঘণ্টায় দুই পররাষ্ট্র সচিব সহ ৮ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। গত কয়েকদিনে মোট ৫৭ জন সাংসদ ইস্তফা দিয়েছেন। তাই কার্যত বাধ্য হয়েই পদত্যাগের পথে হাঁটছেন বরিস। জানা গেছে আজই তিনি পদত্যাগের কথা ঘোষণা করবেন।
বিবিসির রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ক্রিস ম্যাসন জানিয়েছেন, পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন বরিস। তবে নতুন টোরি নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে বরিসই কাজ চালিয়ে যাবেন।
বরিসের ডাউনিং স্ট্রিট অফিস নিশ্চিত করেছে যে শীঘ্রই দেশের উদ্দেশ্যে একটি বিবৃতি দেবেন তিনি।
কেন এই অনাস্থা? জানা যাচ্ছে, যৌন কেলেঙ্কারি–সহ একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ২০১৯ সালে ক্রিস পিনচার নামে বর্ষীয়ান এক রাজনীতিককে বড় পদে বসান জনসন। এই বিষয়ে জনসন দাবি করেন, পিনচারের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা কিছুই জানতেন না তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার, সরকারি মুখপাত্র সাইমন ম্যাক-ডোনাল্ড দাবি করেন, জনসন মিথ্যা কথা বলেছেন। যা নিয়ে শোরগোল উঠতেই প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রথমে ইস্তফা দেন ব্রিটেনের চার মন্ত্রী। এরপর ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা বাড়তে থাকে।
(বিস্তারিত আসছে)
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন