প্রধানমন্ত্রীর পদে শপথ গ্রহণের পর থেকেই নিজের দায়িত্ব নিয়ে একাধিকবার সমালোচিত হয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এবার তাঁর সমালোচনায় মুখর হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পরিস্থিতি এতটাই জটিল নিজের পদ থেকে ইস্তফাও দিতে পারেন লিজ ট্রাস।
বিশেষ কিছু কারণে ব্রিটেনে কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর সিদ্ধান্ত নেন লিজ ট্রাস। এই সিদ্ধান্তের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে দেশের মানুষ ক্ষোভ উগরে দেন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি কর্পোরেট ট্যাক্স বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই তাঁর এই 'ইউ টার্নে' ক্ষুব্ধ ব্রিটিশরা।
অন্তর্জাতিক মহলেও ট্যাক্স কমানোর সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হচ্ছে তাঁকে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি বাইডেন বলেন, লিজ ট্রাসের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর বিরোধিতা কেবল আমি করছি না। অন্যান্য দেশের প্রধানরাও এর বিরোধিতা করছেন। যেহেতু এটা সম্পূর্ণ ব্রিটেনের বিষয় তাই বেশিকিছু বলা আমার উচিত নয়।
অন্যদিকে, ব্রিটেনে মূল্যবৃদ্ধির হার ক্রমশই বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েও প্রশাসন চালাতে ব্যর্থ হচ্ছেন লিজ ট্রাস। মন্ত্রীসভার অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেংকেও পদ থেকে বরখাস্ত করেন তিনি। ফলে লিজ তাঁর দলের ( কনজারভেটিভ পার্টি) অন্দরেই সমালোচিত হচ্ছেন। প্রায় ১০০ জন সাংসদ তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চলেছে। অবশ্য লিজের বক্তব্য, কোয়াসির যে বাজেট পেশ করেছিলেন তাতে আন্তর্জাতিক বাজারে পাউন্ডের মূল্যের পতন দেখা দেয়।
সব মিলিয়ে ব্রিটেনে কার্যত রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। যার জেরে মন্ত্রীত্ব খোয়াতে পারেন লিজ ট্রাস। তাঁর বদলে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্যে ফের ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের নাম উঠে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে সুনকের নাম উঠে আসলেও প্রধানমন্ত্রী হওয়া কিছুটা হলেও কঠিন। কারণ লিজ সরকার যখন কর কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় তার বিরোধিতা করেননি ঋষি সুনক। তাঁর বদলে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালস প্রধানমন্ত্রী পদ পাওয়ার অন্যতম দাবিদার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন