চিলির প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ৩৬ বছর বয়সী ‘বামপন্থী’ ছাত্রনেতা গ্যাব্রিয়েল বোরিক ফন্ট। চিলির ইতিহাসে তিনি সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। ২০২২-২০২৬ সময়কালের জন্য চিলির দায়িত্ব তাঁর হাতে।
গ্যাব্রিয়েল বোরিক চিলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ও সামাজিক বিজ্ঞানের স্নাতক। শুক্রবার রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ভালপারাইসোতে ন্যাশনাল কংগ্রেসে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন তাঁর মন্ত্রীসভার সাথে শপথ নিয়েছেন। শপথ নেওয়ার সময় তিনি মন্ত্রীসভার সদস্যদের উদ্দ্যশে বলেন – “আমি এই মন্ত্রীসভা নিয়ে ভীষণভাবে গর্বিত। মন্ত্রীসভায় পুরুষদের চেয়ে বেশি নারী রয়েছে। নারীবাদী আন্দোলনকারীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আসুন আমরা কখনই ভুলে যাই না যে, আমরা চিলির জনগণের কাছে প্রতিদিন ঋণী।”
প্রসঙ্গত, চিলির ইতিহাসে তিনি প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। বোরিকের মন্ত্রীসভায় তরুণ ছাত্রনেতা, নারীবাদী এবং পরিবেশবাদীদের নিয়ে গঠিত হয়েছে। যা চিলির ইতিহাসে এক কথায় নজির সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে চিলি জুড়ে শুরু হয় গণআন্দোলন। দাবি ওঠে সামরিক শাসক পিনোশেটের প্রবর্তিত সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। ২০২০-এর গণভোটে প্রায় ৭৮% চিলের জনতা মতপ্রদান করলেন সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে। প্রায় ১৮% ভোট এবং ২৮ জন প্রতিনিধি নিয়ে চিলির কমিউনিস্ট পার্টি সংবিধান সভায় দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
এই আবহেই চিলিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। একদিকে বামপন্থী জোটের গাব্রিয়েল বরিস। অন্যদিকে সামরিক শাসনের গুণগ্রাহী অতি দক্ষিনপন্থী হোসে আন্তোনিও কাস্ত। চিলির সংবিধান অনুযায়ী, প্রথম রাউন্ডের ভোটে কেউ ৫০% ভোট না পেলে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট হয়। প্রথম রাউন্ডে অবশ্য কাস্ত ২৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। সেখানে ২৬ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন গাব্রিয়েল।
অবশেষে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা দুই প্রার্থীর দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বামপন্থী গাব্রিয়েল প্রায় ৫৬% ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন