নিজেদের পরমাণু অস্ত্র সম্ভার ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে চীন। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করল পেন্টাগন। আমেরিকা মনে করছে, ভাবনার থেকেও বেশি গতিতে নিজেদের পরমাণু অস্ত্র সম্ভার বাড়িয়ে তুলেছে বেজিং। সম্প্রতি পেন্টাগন একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চীন ক্রমশই এই অস্ত্র মজুতের বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে ফারাক কমিয়ে ফেলেছে। অন্যদিকে, সেই রিপোর্ট খারিজ করে দিয়ে চিন বলছে, এসব আসলে আমেরিকার ‘পূর্ব অনুমান’। পেন্টাগনের রিপোর্টকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে মনে করছে বেজিং।
দীর্ঘদিন ধরেই চীন যে একটু একটু করে অস্ত্রের ভাণ্ডার বাড়াচ্ছে, তা নিয়ে আশঙ্কা ছিল অন্যান্য দেশের। গতবছর আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর যে তথ্য দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০০টি পরমাণু অস্ত্র মজুত করবে চীন। কিন্তু সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে এ বছরের রিপোর্ট বলছে, ৪০০ নয়, ২০৩০ সালে বেজিং এক হাজার পরমাণু অস্ত্রের ক্ষমতাসম্পন্ন দেশ হতে চলেছে।
শুধু সেনা নয়, নৌ, বায়ুসেনা বাহিনীকেও পরমাণু শক্তিধর করার পদক্ষেপ করছে বেজিং। এজন্য জল ও স্থলের পরিকাঠামো পরিবর্তন করার ভাবনা চিন্তাও করছে তারা। পেন্টাগনের দাবি, মার্কিন গোয়েন্দারা গত এক বছর ধরে চীনের পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার নিয়ে তদন্ত করেছে। প্রতিবছর দ্বিগুণ হারে চীন নানা পাল্লার পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে যা এক হাজারে পৌঁছে যাবে। এত বেশি পরমাণু অস্ত্র অ্যামেরিকা এবং রাশিয়া ছাড়া আর কারো হাতে নেই আপাতত।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-চীন সাগরে আমেরিকার সঙ্গে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেনের সঙ্গে বিরোধ বাড়ছে চীনের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন