ফের তাইওয়ানের আকাশে যুদ্ধের ঘনঘটা। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই তাইওয়ানে সামরিক অভিযান চালাতে পারে চীন। ইতিমধ্যেই তাইওয়ানের উদ্দেশ্যে ৭১টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে জিনপিং-র দেশ।
গত কয়েকমাস ধরেই একাধিকবার খবরের শিরোনামে উঠেছিল চীন-তাইওয়ান সম্পর্ক। তা সম্ভবত ভয়ঙ্কর রূপ নিতে চলেছে। আরও একটি যুদ্ধের আশঙ্কা। একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। ঘটনার সূত্রপাত মূলত আমেরিকাকে কেন্দ্র করে। গত সপ্তাহে নিজেদের সামরিক খাতে পূর্বের তুলনায় অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াইট হাউস। পাশাপাশি শুধুমাত্র তাইওয়ানের জন্য পৃথক একটা বাজেট ঘোষণা করেছে।
তারপরেই চীনের এমন সিদ্ধান্ত। শুধুই কি সামরিক মহড়া নাকি যুদ্ধের উদ্দেশ্যেই ৭১টি যুদ্ধবিমান ও ৭টি জাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে পাঠানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। একদিন ধরে রণতরীগুলিকে পাঠানো হয়।
চীনা সেনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাইওয়ানকে প্ররোচনা দিচ্ছে আমেরিকা। অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দিতে বিশেষ অর্থবরাদ্দ করা হয়েছে। বিষয়টি হালকাভাবে নিচ্ছে না চীন। যুদ্দধের ইন্ধন দিচ্ছে আমেরিকাই।
উল্লেখ্য, তিন মাস আগেই গোটা তাইওয়ান কার্যত যুদ্ধবিমান ও রণতরী দিয়ে ঘিরে ফেলেছিল চীন। যার জেরে তাইওয়ান প্রণালীতে ব্যাহত হয় নৌচলাচল। বাণিজ্যিক বিমান উড়ানও বন্ধ করে দিয়েছিল তাইওয়ান। তাইপেই দাবি করেছিল পিপলস লিবারেশন আর্মি ২০ টির বেশি যুদ্ধবিমান নিয়ে একাধিকবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। তাইওয়ান প্রণালীতে ৫ টি যুদ্ধজাহাজও মোতায়েন করে চীন।
প্রসঙ্গত, চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দক্ষিণ চীন সমুদ্রের দ্বীপ 'তাইওয়ান' নিজেদের স্বায়ত্বশাসিত রাষ্ট্র বলে দাবি করে। অন্যদিকে, তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে এসেছে চীন। তবে ঐতিহাসিকভাবে তাইওয়ান চীনের অংশ বলেই জানা যায়। ১৯৪৯ সালের গৃহযুদ্ধে মাও সে তুং-র নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বাহিনীর কাছে চিয়াং কাইশেকের নেতৃত্বাধীন কুওমিনতাং গোষ্ঠী পরাজিত হয়ে তাইওয়ানে চলে যায়। তারপর থেকেই চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে উঠেছে তাইওয়ান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন