তাইওয়ানের আকাশসীমা ক্রমাগত লঙ্ঘন করে চলেছে চীনা যুদ্ধ বিমান। তাইওয়ান জুড়ে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে যুদ্ধের আশঙ্কা। যতদিন যাচ্ছে চীন-তাইওয়ানের পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।
গোটা তাইওয়ান কার্যত যুদ্ধবিমান ও রণতরী দিয়ে ঘিরে রেখেছে চীন। যার জেরে তাইওয়ান প্রণালীতে ব্যাহত হচ্ছে নৌচলাচল। বাণিজ্যিক বিমান উড়ানেও সম্মতি দিতে পিছু হটছে তাইওয়ান। তাইওয়ান দাবি করেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি ২০ টির বেশি যুদ্ধবিমান নিয়ে একাধিকবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে। তাইওয়ান প্রণালীতে ৫ টি যুদ্ধজাহাজও মোতায়েন করেছে।
তাইওয়ানও আমেরিকার দেওয়া অতিশক্তিশালী যুদ্ধবিমান এফ-১৬ প্রস্তুত রাখছে। সূত্রের খবর, দুটি সুখোই-৩০, দুটি জে-১১ এবং চারটি জেএইচ-৭ যুদ্ধবিমান ঐ প্রণালীতে মহড়ায় পাঠিয়েছে চীন। যদিও এই বিষয়ে চীন কোনও মন্তব্য করেনি।
এর আগেও তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক চীনা সেনাদের বিরুদ্ধে সরব হয়। তাদের দাবি চীনের সামরিক ক্রিয়াকলাপ অযৌক্তিক। চীন আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। চীনের সেনাবাহিনী তাইওয়ানের সীমা লঙ্ঘন করেছে। যা কখোনই উচিত নয়। তাইওয়ানের এই যুক্তিকে অগ্রাহ্য করে শি জিনপিং-এর দেশ। তাদের একটি জনপ্রিয় সংবাদ পত্রে চীনের মহড়াকে ‘পুনর্মিলন অভিযান’ হিসেবে দেখানো হয়।
উল্লেখ্য, ন্যান্সি পেলোসির সফরের জন্যই চীন ও তাইপেই-র সম্পর্ক ক্রমশ খারাপের দিকে এগোচ্ছে। ন্যান্সির সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছিল চীন। চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল - মার্কিন স্পিকার রাতের অন্ধকারে ভীরুর মতো তাইওয়ান সফরে এসেছেন। সময়সূচী প্রকাশ করার সাহস পায়নি মার্কিন আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দক্ষিণ চীন সমুদ্রের দ্বীপ 'তাইওয়ান' নিজেদের স্বায়ত্বশাসিত রাষ্ট্র বলে দাবি করে। অন্যদিকে, তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে এসেছে চীন। তবে ঐতিহাসিকভাবে তাইওয়ান চীনের অংশ বলেই জানা যায়। ১৯৪৯ সালের গৃহযুদ্ধে মাও সে তুং-র নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বাহিনীর কাছে চিয়াং কাইশেকের নেতৃত্বাধীন কুওমিনতাং গোষ্ঠী পরাজিত হয়ে তাইওয়ানে চলে যায়। তারপর থেকেই চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে উঠেছে তাইওয়ান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন