তাইওয়ান উপকূলবর্তী অঞ্চলে বুধবারও বজায় থাকল চীনের মহড়া। যা রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম লঙ্ঘন করছে বলে দাবি করছে তাইওয়ান। দুই রাষ্ট্রের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে বেশ উদ্বেগে আছে আন্তর্জাতিক কূটনীতিবিদরা।
বিশ্ব রাজনীতিতে বহুল প্রচলিত শব্দ হল আন্তর্জাতিক সীমানা। এই সীমানা নিয়েই ইতিহাসের পাতায় বহু শক্তিধর দেশের যুদ্ধের কথা উল্লেখ আছে। ঠিক একইভাবে বিশ্ব সম্ভবত আরও একটি যুদ্ধের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বিগত কিছুদিনের চীন ও তাইওয়ানের পরিস্থিতি অন্তত সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক চীনা সেনাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তাদের দাবি চীনের সামরিক ক্রিয়াকলাপ অযৌক্তিক। চীন আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। চীনের সেনাবাহিনী বুধবার তাইওয়ানের সীমা লঙ্ঘন করেছে। যা কখোনই উচিত নয়।
অন্যদিকে তাইওয়ানের যুক্তিকে অগ্রাহ্য করল শি জিনপিং-এর দেশ। তাদের একটি জনপ্রিয় সংবাদ পত্রে চীনের মহড়াকে ‘পুনর্মিলন অভিযান’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। চীনের এক সেনা আধিকারিক জানান, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এই মহড়া চালনা করা হচ্ছে। এটি এখন শুধুই মহড়া। পরবর্তীকালে মহড়ার সকল প্রশিক্ষণ শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও চীনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রয়োজনে আর্টিলারি ফায়ারও করা হবে।
ন্যান্সির সফরের জন্যই চীন ও তাইপেই-র সম্পর্ক ক্রমশ খারাপের দিকে এগোচ্ছে। ন্যান্সির সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছিল চীন। চীন বলেছে, মার্কিন স্পিকার রাতের অন্ধকারে ভীরুর মতো তাইওয়ান সফরে এসেছেন। সময়সূচী প্রকাশ করার সাহস পায়নি মার্কিন আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দক্ষিণ চীন সমুদ্রের দ্বীপ 'তাইওয়ান' নিজেদের স্বায়ত্বশাসিত রাষ্ট্র বলে দাবি করে। অন্যদিকে, তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে এসেছে চীন। তবে ঐতিহাসিকভাবে তাইওয়ান চীনের অংশ বলেই জানা যায়। ১৯৪৯ সালের গৃহযুদ্ধে মাও সে তুং-র নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বাহিনীর কাছে চিয়াং কাইশেকের নেতৃত্বাধীন কুওমিনতাং গোষ্ঠী পরাজিত হয়ে তাইওয়ানে চলে যায়। তারপর থেকেই চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে উঠেছে তাইওয়ান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন