সোমবার দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে ফের সংঘাতে জড়াল চিন ও আমেরিকা। দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন রণতরীকে তাড়া করল চিনা নৌবহর। এমনটাই দাবি করেছে বেজিং। চিনের দাবি, পারাসেল দ্বীপপুঞ্জের পাশে তাদের জলসীমায় মার্কিন যুদ্ধ জাহাজের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। যুদ্ধজাহাজের নাম ইউএসএস বেনফোল্ড। এই ধরনের ‘আগ্রাসী কার্যকলাপ’ না করার জন্য আমেরিকাকে সতর্কও করেছে চিনা ফৌজ।
দক্ষিণ চিন সাগরে বেশ কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা পারাসেল দ্বীপপুঞ্জকে চিন নিজেদের বলেই দাবি করে। অঞ্চলটি খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ। চিন ছাড়াও ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, ফিলিপিন্স ও মালয়েশিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশ এলাকাটি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু দক্ষিণ চিন সাগরে ববরাবর নিজেরাই আধিপত্য স্থাপন করতে চেয়েছে বেজিং। বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামোও গড়ে তুলছে।
দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে কখনও জাপান, কখনও ফিলিপিন্স, কখনও ভিয়েত্নামের সঙ্গেও সংঘাতে জড়িয়েছে বেজিং। দক্ষিণ চিন সাগরের বেশিরভাগ এলাকাই তাদের বলে দীর্ঘদিন দাবি করে আসছে চীন। অন্যদিকে, আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী দক্ষিণ চিন সাগরে পাঠিয়ে শক্তি প্রদর্শন করছে আমেরিকাও। বিশ্লেষকদের মতে, ‘ড্রাগন’কে রুখতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা। সদ্য সমাপ্ত জি-৭-এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখে শোনা গিয়েছে সংঘাতের সুর।
পালটা বিবৃতি জারি করে মার্কিন নৌসেনার সপ্তম নৌবহর জানিয়েছে, তারা যা করেছে সম্পূর্ণ আইন মেনেই করেছে, আইন মেনেই রণতরিটি টহল দিয়েছে। সাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় যাতায়াতের স্বাধীনতা বজায় রাখা হবে। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান চলবে। চিনা নৌবহরের সাথে তাদের উত্তেজনার ঘটনা কার্যত স্বীকার করছে মার্কিন নৌবাহিনী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন