কিউবার হাভানায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে প্যালেস্তাইনের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর প্রতিবাদে তাদের এই বিক্ষোভ বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ কানেল।
গতকাল কয়েক হাজার মানুষ প্যালেস্তাইনের পতাকা হাতে নিয়ে অবিলম্বে প্যালেস্তাইনের গাজায় ইজরায়েলি গণহত্যা বন্ধ করার দাবি জানান এবং প্যালেস্তাইনকে মুক্ত করার দাবি তোলেন।
বিক্ষোভকারীদের মতে, আমেরিকা এই পরিস্থিতির জন্য সবথেকে বেশি দায়ী। কারণ প্যালেস্তাইনে চলা ইজরায়েলি গণহত্যা, যেখানে সরাসরি আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করা হচ্ছে তাকে সমর্থন জানাচ্ছে আমেরিকা।
বিগত কয়েক দশক ধরে প্যালেস্তাইনের প্রতি দৃঢ় সংহতি জানিয়ে আসছে কিউবার কমিউনিস্ট সরকার। প্যালেস্তাইনের ২০০-র চিকিৎসককে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছে কিউবা। উল্লেখযোগ্যভাবে ইজরায়েলের সঙ্গে কিউবার কোনওরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
বৃহস্পতিবার কিউবান প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল-এর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিল হাভানার সি সাইড রোডে আমেরিকান দূতাবাসের সামনে যায়। হাভানায় বিগত এক দশকে আমেরিকান দূতাবাসের সামনে এত বড়ো বিক্ষোভ সমাবেশ হয়নি বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
প্রাক্তন কিউবান রাষ্ট্রপতি, প্রয়াত ফিদেল কাস্ত্রো নেতৃত্বে অতীতে কিউবাতে এইধরণের একাধিক বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। যদিও সেইসব মিছিলের অধিকাংশই ছিল বিভিন্ন আমেরিকান বিধিনিষেধের বিরোধিতায়।
গত ৭ নভেম্বর প্যালেস্তাইনের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হামাসের অতর্কিত আক্রমণে প্রায় ১২০০ ইজরায়েলির মৃত্যু হয় এবং ২৪০ জনকে পণবন্দী করার ঘটনার ঘটে।
এরপরেই ইজরায়েলি বাহিনী পুরো প্যালেস্তাইন জুড়ে আক্রমণ নামিয়ে আনে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুসারে ইজরায়েলি আক্রমণে গাজায় এখনও পর্যন্ত ১৪,৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে মৃতদের মধ্যে ৪০ শতাংশই শিশু।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন