২০২০ সালের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পরাজয়ের পরে, ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি খসড়া আদেশে প্রতিরক্ষা সচিবকে ভোটিং মেশিন বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। আমেরিকার ‘পলিটিকো’ নামের এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে এমটাই দাবি করা হয়েছে। সদ্য প্রকাশিত ন্যাশনাল আর্কাইভস নথির উপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ট্রাম্প চেষ্টা করেছিলেন যাতে জো বিডেনকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা থেকে বিরত রাখা যায়।
১৬ ডিসেম্বর (২০২০) ওই খসড়া আদেশে, প্রতিরক্ষা সচিবকে অবিলম্বে “সমস্ত ভোটিং মেশিন, সরঞ্জাম, সঞ্চিত তথ্য এবং সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস বাজেয়াপ্ত” করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে ৭ দিনের মধ্যে নির্বাচনের প্রাথমিক মূল্যায়ন এবং ৬০ দিনের মধ্যে একটি চূড়ান্ত মূল্যায়ন করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
খসড়া আদেশটি ৭০০ পৃষ্ঠার। ইউএস হাউস কমিটির কাছে এই আদেশটি প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল আর্কাইভস অ্যান্ড রেকর্ডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এই তথ্য যাতে প্রকাশ না পায় তাঁর জন্য ট্রাম্প যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন। পরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ডায়েরি, ভিজিটর লগ, বক্তৃতার খসড়া এবং হাতে লেখা নোট সহ এটি সামনে আসে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হয় ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাটরা ভোট পায় ৫১.৩ শতাংশ। আর রিপাবলিকানদের ঝুলিতে যায় ৪৬.৯ শতাংশ ভোট। ভোটের এই ফলাফল মেনে নিতে পারেননি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প অনুরাগী মহলে রটে যায় ভোটিং মেশিন হ্যাক করা হয়েছে, তাই হেরে গেছেন তিনি। পুনঃনির্বাচনের দাবি তুলে সরব হন একটা বড় অংশের মার্কিন নাগরিক। সুর চড়িয়েছিলেন স্বয়ং ট্রাম্পও।
তারপরই গত বছর ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায় ২,৫০০ হাজার ট্রাম্প সমর্থনকারীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন