হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময় রাষ্ট্র সম্পর্কিত ৪৯টি নথি সঙ্গে নিয়ে গেছিলেন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোটে হেরে যাবার তিন বছর পরে সরকারি নথি চুরির দায়ে সরাসরি অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত আমেরিকার ফেডারেল আদালতে মোট ৩৪টি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী মঙ্গলবার তাঁকে মায়ামির যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওঠা মূল অভিযোগের মধ্যে আছে, হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময় ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের সঙ্গে তিনি বেশ কিছু গোপনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি সঙ্গে করে নিয়ে যায়। যা তিনি রেখেছিলেন ফ্লোরিডায় তার নিজের বাড়িতে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হয়। আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর ২০২১ সালের মাঝামাঝি নথির হিসেব মিলিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথির পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরেই বিষয়টি জানানো হয় এফবিআই-কে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাসভবনে প্রথম দফায় তল্লাশি চালায় এফবিআই এবং উদ্ধার করা হয় প্রায় ১৫টি ট্রাঙ্ক বোঝাই নথি। এরপর ওই বছরেরই আগস্ট মাসে ফের তল্লাশি চালানো হয় একই বাড়িতে। এবার উদ্ধার হয় প্রায় ১১ হাজার নথি সহ ৩৩টি ট্রাঙ্ক। যে সব নথির মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক নথি সহ অতি গোপনীয় এবং বিশেষ ভাবে রক্ষিত বেশ কিছু ফাইল উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এর আগে এক পর্ণতারকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তাঁকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার দেবার অভিযোগ ওঠে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। যে মামলায় এই বছরের ৩০ মার্চ অভিযুক্ত করা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। যার জেরে গত ৪ এপ্রিল তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও তিনি জামিন পেয়ে যান।
এছাড়াও ব্যবসা সংক্রান্ত জালিয়াতির মামলায় এই বছরের ১৪ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ওই জালিয়াতির মামলায় তাঁকে প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, আমি কখনও ভাবিনি দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমন কিছু হওয়া সম্ভব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন