প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সভা চলাকালীন গুলিচালনার ঘটনা ঘটল। যে ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন ট্রাম্প। গুলিচালনার ঘটনার সময় ভাষণ দিচ্ছিলেন ট্রাম্প। পেনসিলভানিয়ার বাটলারে ১৩ জুলাই এক সভা চলাকালীন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ এই গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সংবাদসংস্থা এপি নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে গতকালের সভায় গুলিচালনার ঘটনায় দু'জনের মৃত্যু হয়েছে এবং দু’জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনার পর এক বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন গুলি তাঁর ডান কানের ওপরের অংশ ঘেঁষে বেরিয়ে গেছে। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, সকলের এইধরনের ঘটনার নিন্দা করা উচিত।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানাচ্ছে, এফবিআই আততায়ীকে চিহ্নিত করেছে এবং তাঁর নাম টমাস ম্যাথু ক্রুকস। তাঁর বয়স ২০ বছর। তিনি পেনসিলভানিয়ার বেথেল পার্কের বাসিন্দা। যদিও এই গুলিচালনার উদ্দেশ্য কী তা এখনও জানা যায়নি। ট্রাম্পের ওপর গুলিচালনার পরেই নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও এক ব্যক্তির নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গুলিচালনার পরেই মুহূর্তের মধ্যে ট্রাম্পকে মাটিতে শুইয়ে দিয়ে ঘিরে ফেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। গুলিচালনার ঘটনার পর ট্রাম্পের গালে এবং কানে রক্ত দেখতে পাওয়া যায়।
ঘটনার বিবরণ অনুসারে, গুলিচালনার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১২০ থেকে ১৫০ মিটারের মধ্যে ছিলেন আততায়ী। যদিও সিএনএন জানিয়েছে সভাস্থলের খুব কাছেই একটি বাড়ির ছাদ থেকে আততায়ী গুলি চালিয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, নিহত আততায়ী পেনসিলভানিয়ার রেজিস্টিকৃত রিপাবলিকান ভোটার ছিলেন। ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি জো বাইডেনের শপথ গ্রহণের দিন তিন প্রোগ্রেসিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি নামক এক সংস্থাকে ১৫ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন।
ট্রাম্পের ওপর গুলিচালনার ঘটনার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন