ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)। এক বার বা দু’বার নয়। পর পর চার চার কেঁপে উঠেছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপ রাষ্ট্র। ইউরোপিয়ান মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (EMSC) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭।
জানা যাচ্ছে, স্থানীয় সময় ভোর ৩ টা ১৭ মিনিট নাগাদ প্রথম কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়া। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মালুকু প্রদেশের টানিম্বার সংলগ্ন বান্দা সাগর।
ভূতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের প্রভাব এতটাই জোরালো ছিল, এটি উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়েছে। এরপরেই সেখানে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে, ৩ ঘন্টা পরে সেই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (USGS) সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপ অ্যাম্বোনের ৪২৭ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯৭ কিলোমিটার গভীরে।
সূত্রের খবর, এই ভূমিকম্পে টানিম্বার দ্বীপপুঞ্জের দুটি স্কুল ভবন এবং ১৫ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তিনটি বাড়ি অল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন একজন ব্যক্তি।
এক বিবৃতিতে, ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মুখপাত্র আবদুল মুহারি বলেছেন, 'তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ডের শক্তিশালী কম্পন অনুভব করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভূমিকম্পের পরে আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।'
সূত্রের খবর, ২০২১ সালের তথ্য অনুসারে টানিম্বারের মোট জনসংখ্যা ১ লক্ষ ২৭ হাজার। এছাড়া, টেঙ্গারা প্রদেশের পাপুয়া ও পূর্ব নুসার পাশাপাশি উত্তর অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
প্রায় সময়ই ইন্দোনেশিয়ায় কম মাত্রার ভূমিকম্প হয়ে থাকে। প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে সিসমিক ফল্ট এবং রিং অফ ফায়ারে অবস্থানের কারণেই এই ধরণের ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
গত বছরের নভেম্বর, জাভায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় ২০০ জন মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ। এ সময় স্কুলের ক্লাস চলায় অনেক ছাত্রছাত্রীও আহত হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন