দীর্ঘ ১১ দিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলার পর শুক্রবার সকালে গাজা স্ট্রিপ এবং ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হল। ইজিপ্ট-এর মধ্যস্থতায় ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।
গত ১১ দিনে ইজরায়েলি হানাদারিতে ৬৫ শিশু সহ প্যালেস্টাইনে ২৩২ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের রকেট আক্রমণে ইজরায়েলে মৃত্যু হয়েছে ২ শিশু সহ ১২ জনের। হামাসের রকেট হানায় ইজরায়েলে মৃত্যু হয়েছে এক ভারতীয় নার্সেরও। প্যালেস্টাইনের প্রায় ২ হাজার মানুষ গত ১১ দিনের আক্রমণ প্রতি আক্রমণে আহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে ঘরছাড়া ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ।
এদিন সকালে ইজরায়লের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু এক বিবৃতিতে জানান – ইজিপ্টের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন হয়েছে। একইভাবে হামাসের পক্ষ থেকেও বিবৃতি দিয়ে যুদ্ধবিরতির কথা জানানো হয়েছে। স্থানীয় সময় অনুসারে শুক্রবার রাত ২টো থেকে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি জারি হয়েছে।
এদিন যুদ্ধবিরতি চুক্তি জারি হবার পরেই গাজার রাস্তায় দলে দলে মানুষ বেরিয়ে পড়েন এবং যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানান।
গত ১০ মে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। জেরুজালেমে আল আসকা মসজিদে ইজরায়েলি বাহিনীর দখলদারির চেষ্টাকে ঘিরে সংঘর্ষ বাধে। হামলা চালাতে শুরু করে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। ইজরায়েলি বায়ুসেনার বিমান হানায় ৩৫ জনের প্যালেস্টিনিয়র মৃত্যু হয়। প্রতিশোধ নিতে পাল্টা ইজরায়েলের ওপর রকেট হামলা চালাতে শুরু করে হামাস। ফলে ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনের মধ্যে তৈরি হওয়া অশান্তি আরও একবার ভয়াবহ হয়ে ওঠে। যা চলছিলো গত ১১ দিন ধরে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন