টুইটারের সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন এলন মাস্ক। সেই সম্ভাবনায় প্রবল হচ্ছে ধীরে ধীরে। কেননা, স্বেচ্ছায় কোম্পানি (টুইটার) থেকে সরে দাঁড়াবেন কিনা তা জানতে চেয়ে ট্যুইটার পোল শুরু করেছেন এলন মাস্ক। আর, সেই ভোটের উত্তরে ট্যুইটারের সিইও মাস্কের সরে দাঁড়ানোর পক্ষে এখনও পর্যন্ত মত দিয়েছেন বিশ্বের ৫৬.৮ শতাংশ মানুষ (ভারতীয় সময় দুপুর ১ টা নাগাদ)।
তবে, এই ভোটের সময়সীমা এখনই শেষ হচ্ছে না। এটি চলবে ভারতীয় সময় বিকাল ৪.৩০ পর্যন্ত। তারপরেই, চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে। তবে ভোটের ফলাফল মেনে নিয়ে এলন মাস্ক সরে দাঁড়াবেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
১৯ ডিসেম্বর, ভোর ৪ টা ৫০ মিনিটে (ভারতীয় সময়) টুইটার ব্যবহারকারীদের কাছে একটি প্রশ্ন করেছিলেন এলন মাস্ক। সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারের প্রধানের পদ থেকে তিনি সরে আসবেন কিনা তা এক ভোটের মাধ্যমে জানতে চান। তাঁর অফিশিয়াল হ্যান্ডেলে একটি পোলের সময় এই প্রশ্নটি করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘জনগণের রায় অনুসরণ করে ট্যুইটারের বেশিরভাগ মানুষ যা বলবে, তাই করবেন তিনি।’
টুইটারের সিইও হিসেবে গত কয়েক মাস টালমাটাল কেটেছে মাস্কের। টুইটারের হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই, টুইটার ব্লু প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানের তুলে দেওয়া এবং প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সহ একাধিক বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব ও সংস্থার অ্যাকাউন্ট ফের চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যার জেরে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন মাস্ক।
শুধু তাই নয়, গত ১৫ ডিসেম্বর বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তকমা হারিয়েছেন এলন মাস্ক। তাঁর জায়গায় উঠে এসেছেন বার্নার্ড আর্নল্ট। মূলত, টেসলার (Tesla Inc) শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির শিরোপা হারান মাস্ক।
গত কয়েক মাস আগে ৪৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করে টুইটার অধিগ্রহণ, ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই, ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিকসহ একাধিক সাংবাদিকের ট্যুইটার হ্যান্ডেল সাসপেন্ড করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন এলন মাস্ক। তাঁকে সতর্ক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। ফলে মাস্কের ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে। আর, এর প্রভাব পড়েছে তাঁর ব্যবসার উপর। এই ভোটের পর তিনি কি করেন সে দিকেই তাকিয়ে বিশ্বের অধিকাংশ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন