রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কমাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি। আমদানিকৃত তেলের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তারা। যার ফলে সমস্যায় পড়তে পারে ইউরোপীয় দেশগুলি।
রাশিয়া থেকে মূলত সমুদ্রপথে তেল আসে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই সমুদ্রপথে রুশ জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে পশ্চিমা দেশগুলি। ইউরোপের দেশগুলি চেয়েছিল সম্পূর্ণভাবে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে।
অন্যদিকে, বাধ সাধে হাঙ্গেরি। হাঙ্গেরির চাহিদার বেশিরভাগ তেল আসে রাশিয়া থেকে। ফলে পাইপলাইনের মাধ্যমে হাঙ্গেরিকে তেল আমদানি করতে হবে। হাঙ্গেরির এরূপ সিদ্ধান্তকে বাকি দেশগুলি সেইভাবে সমর্থন জানায়নি। এই প্রসঙ্গে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে উচিত, সমস্যার সমাধান খোঁজা তারপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা যেতে পারে। বলে রাখা ভালো, পশ্চিমা দেশগুলি নিজেদের অর্থনীতিকে বাঁচাতে পুরোপুরি ভাবে রাশিয়ার ওপর এখনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি।
সম্প্রতি, রাশিয়ার তরফ থেকে এর মধ্যে বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে দেশগুলিতে ব্যাপক গ্যাসের সংকট তৈরি হয়েছে। ইউরোপবাসীরা গ্যাসের দামবৃদ্ধির আশঙ্কায় কার্যত ভুগছেন। ফলে সেইসব দেশের ওপর চাপ বাড়ছে ধীরে ধীরে। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর যেসব দেশ মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল এবার সেইসব দেশগুলির ওপর পাল্টা প্রতিশোধ নিচ্ছেন পুতিন। যদিও গ্যাজপ্রোমের দাবি, পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া জ্বালানির মূল্য রুবেলে দিতে পারেনি। তাই এই সিদ্ধান্ত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাশিয়ার গ্যাস ছাড়া অন্য কোনও উপায়ে গ্যাস আমদানি করতে ইউরোপীয় দেশগুলির যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। মার্কিন এক বিশেষজ্ঞ বলেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী দেড় বছর ইউরোপীয়দের কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, গ্যাসের দামবৃদ্ধি ঘটবে, কলকারখানা বিকল হওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে। কূটনীতিবিদদের মতে এইসব সিদ্ধান্তের জেরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে রাশিয়ারও অর্থনীতির উপরেও প্রভাব পড়বে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন