দীর্ঘদিন যাবৎ সারা দেশজুড়ে অর্থনৈতিক সংকটের জেরে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছিল শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। জ্বালানি তেল থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, খাদ্য সংকট, প্রতিটি জিনিসের বেলাগাম মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে কার্যত তীব্র আন্দোলনের পথে নামতে বাধ্য হয়েছিল সাধারণ মানুষ। এমতাবস্থায়, জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষ।
শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রানুযায়ী, পূর্বে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষকে ইস্তফা দিতে বলায় তিনি তা অস্বীকার করেন। শ্রীলঙ্কার শাসকদল শ্রীলঙ্কা পোদুজানা পেরামুনা পার্টি এবং তাঁদের জোটসঙ্গীদের বৈঠকের পরেই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়টি স্থির হয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য সব জিনিসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, লাগামহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনগণের হাতে রাজাপক্ষ শারীরিকভাবে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। তাদের দাবি ছিল, দেশের বুকে প্রভাবশালী এই রাজনৈতিক পরিবার যেন সর্বৈবভাবে রাজনীতি থেকে নিজেদের দূরে রাখে এবং যত দ্রুত সম্ভব আত্মসাৎ করা সকল সম্পদ অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অজিত নিভার্ড কাব্রালসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার ২৬ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন। অপসারণ করা হয়েছিল শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষেকে।
এ প্রসঙ্গে বিরোধীদের বক্তব্য, সারা দেশজুড়ে ঘটে চলা দীর্ঘ লড়াই আন্দোলনের ফলেই কার্যত পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন মাহিন্দা রাজাপক্ষ। তারা আরও বলেন, সংকটের কারণ রাজাপক্ষদের নীতি।
প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতিতে পর্যটন শিল্প ধাক্কা খেয়েছে। অর্থনৈতিক লেনদেন ব্যাহত হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে সরকারের খরচ বেড়েছে। বিদেশি মুদ্রার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে বিদেশ থেকে তেল সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানি করা যাচ্ছে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন