ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সরকারের পেনশন সংস্কার নীতির বিরোধিতায় আবারও রাস্তায় নেমেছে ফ্রান্সের ক্ষুব্ধ জনগণ। প্যারিস সহ একাধিক শহরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। প্রবল আন্দোলনের জেরে অবরুদ্ধ রেল লাইন থেকে হাইওয়ে। বিক্ষোভকারীদের হটাতে বল প্রয়োগ করে পুলিশ। পাল্টা রুখে দাঁড়ান আন্দোলনকারীরা। এক পর্যায়ে, পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ জড়েয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
সূত্রের খবর, আন্দোলনের জেরে প্যারিসের গণপরিবহন ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। এমনকি, শহরতলির লাইনেও যান চলাচল ব্যাহত হয়। আইফেল টাওয়ার এবং ল্যুভরের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
জানা যাচ্ছে, গারে দে লিয়ন স্টেশনে কাছে রেল লাইনের উপর আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া, পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নান্টেসের রাস্তায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করলে, পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে আন্দোলনকারীরা। এছাড়া, একটি ব্যাঙ্কের শাখা এবং আবর্জনার স্তুপেও আগুন লাগানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর লিয়নে বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান এবং টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে। এবং উত্তরের শহর লিলেতেও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ফ্রান্সে অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করেছে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার। কোনও গণভোট ছাড়াই ‘পেনশন নীতি’র এই সংস্কারের বিরুদ্ধে পথে নেমে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারাদেশে প্রায় ১৩,০০০ নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫,৫০০ নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে প্যারিসে। তবে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৭৫ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। উত্তেজনা ছড়ানোর দায়ে ২০১ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন