পেনশন সংস্কার নীতির বিরোধিতা করে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সরকারের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব এনেছে ফ্রান্সের কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
সংসদকে পাশ কাটিয়ে পেনশনের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তার এ সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি সাধারণ মানুষ থেকে আইনপ্রণেতারা। গত কয়েকদিনে একাধিকবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এমনকি, দুটি পৃথক অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, প্রথম অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব এনেছে মধ্যপন্থী দল লিখঁ (Liot Bloc)। এতে সমর্থন জানিয়েছে বামপন্থী নুপেস জোট (Nupes coalition)। অন্যদিকে, দ্বিতীয় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে মেরিন লে পেনের উগ্র ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালি পার্টি (National Rally)। সংসদে এই দলটির ৮৮টি আসন রয়েছে।
গত বছর নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ম্যাক্রোঁর দল। তাই, আস্থাভোটে জিততে গেলে একাধিক দলের উপর নির্ভর করতে হবে। এখন পরিস্থিতি যা- ডানপন্থী, বামপন্থী ও মধ্যপন্থী সহ সব দল যদি এই ইস্যুতে জোট না বাঁধে, তাহলে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না ম্যাক্রোঁকে।
আর, যদি বিরোধীরা একজোট হয়, তাহলে সহজেই অনাস্থা ভোটে হারবে ম্যাক্রোঁ সরকার। পেনশন সংস্কার বিল প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবেন বর্তমান ফ্রান্স সরকার। আর, গঠিত হবে নতুন মন্ত্রীসভা।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ফ্রান্সে অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করেছে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার। কোনও গণভোট ছাড়াই ‘পেনশন নীতি’র এই সংস্কারের বিরুদ্ধে পথে নেমে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
কনজারভেটিভ লঁ রিপাবলিকান নামের একটি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে এ ধরনের কোনো জোট গড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে।
অনাস্থা ভোট সম্পর্কে ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মাইরে সংবাদমাধ্যম লঁ পার্সিয়ানকে বলেছেন, ‘সরকারের পতন ঘটানোর মতো কোনো জোট গঠিত হবে না। কিন্তু এটি একটি সত্যের মুহূর্ত হবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘পেনশন সংস্কার কি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সরকার পতনের কোনো উপযুক্ত কারণ হতে পারে? পরিষ্কার উত্তর হলো না। সবাইকে তার দায়িত্ব নিতে হবে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন