ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সরকারের পেনশন সংস্কার নীতির বিরোধিতা করে আবারও উত্তাল হয়েছে প্যারিস। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
জানা যাচ্ছে, বিক্ষোভ চলাকালীন অগ্নিসংযোগ, পুলিশের উপর আতশবাজি ছুঁড়েছে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। আর, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে পুলিস।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ফ্রান্সে অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করেছে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার। কোনও গণভোট ছাড়াই ‘পেনশন নীতি’র এই সংস্কারের বিরুদ্ধে পথে নেমে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
জানা যাচ্ছে, এই ইস্যুতে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সরকারের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে নির্দল থেকে শুরু করে বামপন্থী জোটের সদস্যরা।
বিবিসি জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই এ নিয়ে ফ্রান্স পার্লামেন্টে বিতর্ক হতে পারে। ম্যাক্রোঁ সরকারের নতুন পেনশন সংস্কার নীতিকে ‘সরকারের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা’ বলে অভিহিত করেছেন ন্যাশনাল র্যালির সাংসদ মেরিন লে পেন।
বিবিসি জানিয়েছে, পার্লামেন্টের কিছু দূরে প্লেস দে লা কনকর্ডে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। অশান্তি এড়াতে প্রায় শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। এছাড়া, ফ্রান্সের একাধিক শহরে গণবিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছে। বোর্দো, টুলন এবং স্ট্রাসবার্গ-সহ একাধিক শহরে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত না এই সংস্কার নীতি প্রত্যাহার করা হয়, আমরা হাল ছাড়ব না। আশা করছি, সরকার সংস্কার নীতি প্রত্যাহার করবে।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে অন্য এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ভোট ছাড়াই আইনটি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ গণতন্ত্রের অস্বীকৃতি। তার জেরেই কয়েক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে মানুষেরা।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন