এবার অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের হাসপাতালে হামলা চালানোর অভিযোগ ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। ইজরায়েলি বিমান হানায় গাজা সিটির আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে প্রায় ৫০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ইজরায়েলের একক বিমান হানায় মৃতের সংখ্যা যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
শুধু হাসপাতাল নয় রাষ্ট্রসংঘ পরিচালিত স্কুল ও ত্রাণ শিবিরে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও মহিলা। হাসপাতালের চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শিশুদের ছিন্নভিন্ন শরীর। যে দৃশ্য দেখে শিউরে উঠছে আন্তর্জাতিক মহল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে - হাসপাতালে হামলার ঘটনা ‘নজিরবিহীন’। গাজায় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলিতে ১১৫ টি হামলা হয়েছে এবং বেশিরভাগ হাসপাতাল অকেজো হয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক মহলে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্যালেস্ট্যাইন অথোরিটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আলকাইলা – একে ‘গণহত্যা’ বলে বর্ণনা করেছেন। যদিও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে বেসামরিক মানুষের উপর বোমাবর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বরং গাজার ‘বর্বর সন্ত্রাসীরা’ হাসপাতালে রকেট হামলা করেছে বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে, সংবাদ মাধ্যমের একাংশ জানিয়েছে হাসপাতালের ওপর ইজরায়েলের বোমারু বিমানের ছবি ধরে রাখা আছে।
এমন পরিস্থিতির মাঝে ইজরায়েলে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ-পর্যায়ে বৈঠক করবেন। তবে হাসপাতালে বোমাবর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিডেনের সঙ্গে দেখা করবেন না প্যালেস্টাইন অথোরিটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। জর্ডনও বিডেনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছে।
শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, হাসপাতালে বেসামরিক মানুষের উপর বোমাবর্ষণের নিন্দা করেছে একাধিক পশ্চিমী দেশ। রাষ্ট্রসংঘের তরফ থেকে অবিলম্বে বিমান হামলা বন্ধ করার আর্জি জানানো হয়েছে। রাশিয়া দাবি করেছে – স্যাটেলাইট ছবি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে, হাসপাতালে বোমা হামলার সাথে ইজরায়েল জড়িত নয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন