হাইতির ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১,২৯৭। হাইতির প্রশাসনিক সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে। গত শনিবার ৭.২ ম্যাগনিটিটিউড ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে এই দ্বীপরাষ্ট্র। ঘটনার দিনেই দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করে হাইতি প্রশাসন।
হাইতিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরেই কিউবার পক্ষ থেকে ২৫৩ জন চিকিৎসকের এক বিশেষ দল হাইতিতে পৌঁছেছে। এছাড়াও চিলির পক্ষ থেকে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়া নাগরিকদের উদ্ধার করার জন্য এক বিশেষ বিমান পাঠানো হয়েছে। রবিবার থেকে ওই বিমান উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।
এখনও পর্যন্ত যে ১,২৯৭ জনের মৃত্যুর কথা সরকারিভাবে জানানো হয়েছে তার মধ্যে ১,০৫৪ জন দেশের দক্ষিণ অংশের, ১১৯ জন গ্র্যান্ড আনসের, ১২২ জন নিপ্পেস অঞ্চলের এবং ২ জন উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের। রবিবার প্রকাশিত সরকারি সূত্র অনুসারে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ১৩,৬৯৪টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ১৩,৭৮৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যদিও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের বক্তব্য অনুসারে ২০১০ সালের থেকে এবারের ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কম। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে যে ধারণা করা হয়েছিলো দেখা গেছে তার চেয়ে অনেক কম ক্ষতি হয়েছে।
হাইতিয়ান সময় অনুসারে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ৭.২ ম্যাগনিটিটিউড তীব্রতার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ইউ এস জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুসারে রাজধানী পোর্ট আ প্রিন্স-এর ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে সেন্ট লুইস ডু সুডের ১২ কিলোমিটার উত্তরপূর্ব অঞ্চলে ভূ পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎস।
এর আগে ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের সাক্ষী ছিলো হাইতি। ভূমি থেকে ১৩ কিলোমিটার গভীরে ওই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিলো ৭ ম্যাগনিটিটিউড। সেবারের ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছিলো প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন