ইউরোপের একাধিক দেশে তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে তাপপ্রবাহে গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ থেকে শুরু করে ট্রেনের সিগন্যাল পর্যন্ত। আবার কোথাও হাজার হাজার হেক্টর বনভূমি পুড়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ।
বিশ্ব উষ্ণায়ন যে কতটা ভয়ানক তা এখন টের পাচ্ছেন জার্মানি, স্পেন, যুক্তরাজ্য সহ ইউরোপীয় দেশের নাগরিকরা।
ব্রিটেন: বিগত বেশকিছুদিন ধরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে রয়েছে। তাপপ্রবাহ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতেই যুক্তরাজ্যে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়। লন্ডন, ম্যাঞ্চেস্টার সহ একাধিক জায়গায় লাল সতর্কতাও জারি করা হয়। তীব্র দাবদহের জেরে বিঘ্নিত রয়েছে রেল পরিষেবা। এক জায়গায় দেখা যাচ্ছে রেল সিগন্যালের বাতির ওপরের অংশ গরমে গলে গেছে।
স্পেন: সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ১০-১৭ জুলাই পর্যন্ত তীব্র দাবদাহে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৭০০ জন। তবে চলতি বছরে এটা প্রথম দাবদাহ নয়। এর আগে জানুয়ারিতেও তাপপ্রাবাহের শিকার হয় দেশটি। সেই সময় ৮০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
ফ্রান্স: পরিস্থিতিও খুব একটা ভালো নয়। ফ্রান্সের দ্যুন ডি পিলট নামের একটি পর্যটন কেন্দ্রটি পুরো ধোঁয়াতে ঢেকেছে। প্রায় ৭০০০ হেক্টর বনভূমি ভস্মীভূত হয়ে গেছে। তাপপ্রবাহের ফলে প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে নিজেদের বাড়ি থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে।
ডেনমার্ক: আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দেশে জুলাই মাসে রেকর্ড তাপমাত্রা স্পর্শ করেছে (৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। ডেনমার্কের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা হয়েছিল ১৯৭৫ সালে।
উল্লেখ্য, প্রচন্ড গরমে ক্ষতির মুখে পড়েছে জার্মানির কৃষকরাও। এছাড়াও ক্ষতির মুখে পড়েছে ইতালি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও পর্তুগাল। স্থানীয় সুত্রে জানা যাচ্ছে, পর্তুগালে তাপপ্রবাহের কারণে আপাতত মৃত্যু হয়েছে ১ হাজারেরও বেশি মানুষের।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ধরণের পরিস্থিতি জলবায়ুর খামখেয়ালীপনার জন্য হচ্ছে। আগামী বছরগুলিতে আরও ভয়ানক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে ইউরোপীয়দের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন