নীতি পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল ইরান। মৃত্যুর প্রতিবাদে ইরানের পথে নেমেছেন হাজার হাজার মহিলা। তাঁদের উপরও নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশের গুলিতে ইতিমধ্যেই ৩১ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। অসলো-ভিত্তিক একটি এনজিও বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছে।
গত সপ্তাহের শেষে ইরানের উত্তর কুর্দিস্তানের বাসিন্দা মাহসা আমিনিকে 'ঠিকঠাকভাবে হিজাব না পরার অপরাধে' গ্রেফতার করে সেখানকার নীতিপুলিশ। শিক্ষা দিতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরের দিন সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশের অত্যাচারেই ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে পথে নামে হাজার হাজার ইরানবাসী। ছ'দিন ধরে চলা এই বিক্ষোভে ইতিমধ্যেই ৩১ জন প্রতিবাদী নিহত হয়েছেন।
ইরানের মানবাধিকার কমিশনের ডিরেক্টর মহম্মদ আমিরি মোগাদ্দাম এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "মৌলিক অধিকার এবং মানবাধিকার অর্জনের জন্য পথে নেমেছে ইরানের জনগণ। সরকার তাদের এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের জবাব বুলেট দিয়ে দিচ্ছে।"
মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, দেশের প্রায় ৩০টি বড় শহর, বেশ কয়েকটি ছোট শহর এমনকি গ্রামেও প্রতিবাদে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। আন্দোলনকারীদের গণ-গ্রেফতার করছে ইরান পুলিশ।
মহিলারা পুলিশের সামনেই হিজাব খুলে তাতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন। চুল কেটে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন।
মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, বুধবার রাতে কাপিয়ান সাগরের উত্তর মাজান্দারান প্রদেশের আমোল শহরে ১১ জন প্রতিবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। ওই রাতেই ওই প্রদেশেরই বাবোল শহরে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ৬ জনের। বুধবার রাতে কুর্দিস্তান শহরেও ৮ জন বিক্ষোভকারীকে হত্যা করে পুলিশ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইরানে মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবা। বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। ইন্সটাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন