কিউবায় অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে আমেরিকা। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি এবং আমেরিকার অবরোধের সুযোগে কিউবায় অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ আনলেন কিউবার রাষ্ট্রপতি মিগুয়েল দিয়াজ কানেল। তাঁর বক্তব্য, আমেরিকার অর্থে প্রতিবিপ্লবীদের ভাড়াটে বাহিনী জমায়েত করে এখানে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে মানুষের প্রতিবাদ জানানোকে তিনি সমর্থন করেছেন। তিনি জানান, মত প্রকাশের অধিকার এবং জমায়েত করার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কিউবা।
প্রসঙ্গত, কিউবায় বেশকিছু জায়গায় জমায়েত করেছেন বেশ কিছু মানুষ। তাঁদের মূলত দাবি - খাদ্য ও ওষুধ। কিউবার অর্থনীতি মূলত পর্যটনের উপর ভিত্তি করে। কিন্তু করোনা মহামারীর পর তা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্রটি। তবে অর্থনৈতিক সঙ্কটের আরও একটি বড় কারণ হল - আমেরিকার অর্থনৈতিক অবরোধ। ফলে আমদানি কিংবা রপ্তানী ব্যবস্থা ধুঁকছে।
কিউবার রাষ্ট্রপতি দেশবাসীর উদ্দ্যেশে ভাষণের সময় এই প্রসঙ্গে বলেন- " আমেরিকা সত্যি যদি কিউবানদের দুর্দশা নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকে, তাহলে তারা আগে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নিক।" তবে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরোধিতা করার জন্য কিউবান বিপ্লবের সমর্থকদের পথে নামতে আহ্বান জানান তিনি। এই মুহূর্তে সরকারের পক্ষেও বিভিন্ন শহরে বড় বড় মিছিল দেখা যাচ্ছে। তাঁদের স্লোগান হল- " ভিভা ফিদেল" "ভিভা রেভলিউশন"।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর জনগণের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'যাঁরা রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই বিপ্লবে বিরোধী নন। তাদের অসন্তোষও ন্যায়সঙ্গত হতে পারে। আমেরিকার অর্থনৈতিক অবরোধের জন্য যে পরিমাণ ওষুধ প্রয়োজন, কিউবা সরকার তা দেশবাসীর জন্য আনতে পারছে না।'
একইভাবে বিদ্যুৎ মন্ত্রী লিভান আরোনেট বিদ্যুতের সমস্যা নিয়েও মুখ খোলেন। দেশে জ্বালানি ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। তিনি বলেন, 'থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরের সমস্যা সমাধানের জন্য ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করে চলেছেন। এক্ষেত্রে অবরোধ প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে একুশে জুন থেকে ধারাবাহিক বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে রাতে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন