তোষাখানা দুর্নীতিতে তিন বছরের জেল ও জরিমানা হলো প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। ইসলামাবাদের এক ট্রায়াল কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই গ্রেফতার করা হয় ইমরানকে।
জামিনে মুক্ত ছিলেন ইমরান খান। তবে আদালতের রায়ের পরই পাকিস্তানে ফের উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আদালত নির্দেশ অনুযায়ী, ইমরান খানের তিন বছরের জেলের পাশাপাশি এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরপরই তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন। চলতি বছরেই পাকিস্তানে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না ইমরান। পাক আইন অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছর তিনি কোনও নির্বাচনে লড়তে পারবেন না।
ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের দাবি, বর্তমান পাক সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হচ্ছে। সমস্ত জিনিসের মূল্য আকাশছোঁয়া। এই আবহে ইমরান খানের ওপর মানুষের আস্থা বাড়ছিল। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে ইমরানকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।
চলতি বছরের মে মাসে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকেই ইমরানকে গ্রেফতার করেছিল পাক রেঞ্জার্স। যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি উমর আটা বান্দিয়াল বলেছিলেন, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের চত্বর থেকে ইমরান খানের গ্রেপ্তারি দেশের আইনি ব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এইভাবে গ্রেফতার করা যায় না। এটা অবৈধ। পরে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে দু'দপ্তাহের জামিন পেয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ইমরান খানের বিরুদ্ধে আগেই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল 'তোষাখানা মামলায়'। তোষাখানা হচ্ছে একটি কোষাগার যেখানে বিদেশী আধিকারিকরা সরকারি আধিকারিকদের জন্য মূল্যবান উপহার দেন। অভিযোগ, ওই কোষাগার থেকেই তিনটি ঘড়ি বিক্রি করে ৩৬ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মূদ্রায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা) আত্মসাৎ করেছিলেন ইমরান খান। তার বিরুদ্ধেই আদালত গ্রেফতারির নির্দেশ দেয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন