আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাশিয়ার ওপর। কিন্তু এরই মধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি শুরু করেছে। এতে অবশ্য সুবিধা হয়েছে ভারতের। মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
ভারতের কীভাবে সুবিধা হল? রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করার ক্ষেত্রে ভারতের কাছে আর কোনও বাধা রইল না। কারণ এক্ষেত্রে নয়াদিল্লি ইউরোপের দেশগুলির উদাহরণ দেখাতে পারবে। আর এই উদাহরণ দেখিয়েই তেল আমদানি প্রয়োজনে বাড়াতে পারবে।
তেলের দাম মেটানোর ক্ষেত্রে পুরোনো রুপি-রুবল ব্যবস্থাটি চালু করা যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। ডলারকেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান মুদ্রা হিসাবে গণ্য করা ঠিক কি না, তা নিয়ে বিস্তর ভাবনা শুরু হয়েছে। সৌদি আরব ইতিমধ্যেই চীনের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছে, ইয়ানের মাধ্যমে তেল বিক্রির জন্য।
বর্তমান অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির জেরে অর্থনীতি সামাল দিতে কম দামে তেল-সহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। স্বভাবিক ভাবে এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না ভারত। রুপি-রুবল লেনদেনের মাধ্যমে অপরিশোধিত তেল কেনা যায় কিনা ভাবছে দিল্লি।
সূত্রের খবর, রাশিয়ার থেকে ভারতের কম দামে ৩৫ লক্ষ ব্যারেল তেল কেনার চুক্তি প্রায় সম্পূর্ণ। অন্যদিকে, আমেরিকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে তেল কেনার বিষয়টি আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে না।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ইউরোপের তেল-নির্ভরতার বিষয়টি আমেরিকার জানে। তাই এই ক্ষেত্রকে সার্বিক নিষেধাজ্ঞার বাইরে রেখেছে। আমেরিকা শুধু নিজের দেশে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে। যুদ্ধের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার একাধিক তেল সংস্থার সঙ্গে আলোচনা সেরে ফেলেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন