India-China: সম্পর্কের বরফ কী গলবে! নয়া দিল্লিকে বন্ধুত্বের বার্তা চীনা বিদেশমন্ত্রীর

চীনের বিদেশমন্ত্রকের ভাষণে ভারতের প্রসঙ্গ মাত্র একবার উঠে এসেছে। এটিকে এই মুহূর্তে চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ইতিবাচক দিক হিসাবে দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।
চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই
চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইছবি - সংগৃহীত
Published on

২০২০ সালের মে মাস নাগাদ লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষ হয় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে। ক্রমশই তিক্ত হয় ভারত ও চীনের সম্পর্ক। চীনের সঙ্গে সমঝোতা করতে কূটনৈতিক দরজা অবশ্য খোলা রেখেছিল দিল্লির বিজেপি সরকার। তিক্ত সম্পর্ক জিইয়ে না রেখে চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই সোমবার জানিয়ে দিলেন, চীন ও ভারত দুই দেশই আলোচনার মাধ্যমে গোটা পরিস্থিতিকে সামলে নিয়েছে। চীন ও ভারত বন্ধু হয়ে উঠুক।

বিদেশমন্ত্রীর কথায়, 'ভারত ও চীন কূটনৈতিক ও সেনা পর্যায়ে আলোচনা করেছে। সেই আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তের কিছু নির্দিষ্ট এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও রয়েছে।' দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নত ও মজবুত করতে এমন পদক্ষেপ বলে তিনি জানান।

চীনের বিদেশমন্ত্রকের ভাষণে ভারতের প্রসঙ্গ মাত্র একবার উঠে এসেছে। এটিকে এই মুহূর্তে চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ইতিবাচক দিক হিসাবে দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে বরাবরের মতো বেজিংয়ের সুর এদিনও যথেষ্ট চড়া ছিল।

এদিকে, গত অক্টোবরে দুই দেশের সেনা পর্যায়ের বৈঠক হয়। কিন্তু সেই বৈঠক থেকে কোনও ইতিবাচক দিক মেলেনি। নভেম্বরেও বৈঠক হয়। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই বৈঠকেও ফলপ্রসূ হয়নি।

সীমান্তে চীন তৈরি করছে গ্রাম। একের পর এক ইমারত তৈরি করছে। শেষবার ওয়ার্কিন মেকানিজম ফর কনসালটেশন অ্যান্ড কো অর্ডিনেশনের বৈঠকে এই বিষয়টি সামনে আনা হয়। তারই মাঝে অবশ্য দুপক্ষের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি কথাই শোনা গেছে। চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র বার্তা বেশ তাৎপর্যবাহী বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই
২০২৮ সালের মধ্যে আমেরিকার অর্থনীতিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাবে চিন: রিপোর্ট

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in