ত্রিপুরার গোমতী নদীর বাঁধ খোলার জন্য স্লুইস গেট খোলার পরেই বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বুধবারের পর থেকে এমনই অভিযোগ করা হচ্ছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশের সেই অভিযোগ খারিজ করল ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ যে অভিযোগ করছে, তা সত্য নয়।
বুধবার পুরো ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। যার জেরে বিকেল ৩টের পর জলপ্রবাহ অতিরিক্ত বেড়ে যায়। যার পরিণামে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই বাঁধের স্লুইস গেট খুলে কিছু জল প্রবাহিত হয়ে যায় বাংলাদেশের দিকে। এরপর থেকেই সমাজ মাধ্যমে অভিযোগ উঠতে শুরু করে ধলাই জেলায় গোমাতী নদীর ডুম্বুর বাঁধের গেট খোলার পরেই বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা উল্লেখ করতে চাই যে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমাতী নদীর অববাহিকা (ক্যাচমেন্ট) এলাকায় কয়েক দিন ধরে এ বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে হওয়া এই বন্যা মূলত বাঁধের ভাটার (নিম্নপ্রবাহের) দিকের বৃহৎ অববাহিকার বৃষ্টিজনিত জলপ্রবাহের কারণে ঘটেছে।’’
বিদেশ মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি উজানে ডুম্বুর বাঁধের অবস্থান। এটা কম উচ্চতার (প্রায় ৩০ মিটার) বাঁধ। এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ একটি গ্রিডে যুক্ত হয় এবং ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে যায়। গোমাতী নদীর অববাহিকায় দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে তিনটি জায়গায় জলপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে, বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার বিষয়টি নজরে আসেনি।
সরকারি স্তরে কোনো অভিযোগ না আসা সত্ত্বেও ভারতের এই বিবৃতিতে মনে করা হচ্ছে, সদ্য গঠিত মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে টানাপড়েন এড়াতে সতর্ক ভারত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন