প্রয়োজনে আরও একবার বন্ধুর মতোই বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াল ভারত। করোনা অতিমারিতে বাংলাদেশকে রেলপথে জরুরি ভিত্তিতে মেডিক্যাল অক্সিজেন পাঠানো হল। শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বনগাঁ স্টেশন থেকে অক্সিজেন বোঝাই বিশেষ ট্রেন পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশে রওনা দেয়।
বাংলাদেশের অতিমারি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ফের কঠোর বিধিনিষেধ লাগু করেছে হাসিনা সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্যতম প্রয়োজনীয় সামগ্রী অক্সিজেন। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা বেড়েছে অক্সিজেনের। কিন্তু সেই পরিমাণ অক্সিজেন জোগান দিতে পারছে না সরকার। অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু খবরও পাওয়া যাচ্ছে। সংকটমোচনে অক্সিজেন পাঠিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াল নয়াদিল্লি।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে ভাড়াতেও অক্সিজেনের অভাবের গোটা দেশেই হাহাকার পড়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সবাই এগিয়ে আসায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, 'আমাদের কাছে যা খবর আছে, বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ ব্যাপক৷ তা প্রতিরোধ করার জন্য আর পাঁচটা জিনিসের মধ্যে অক্সিজেনটা বিশেষ জরুরি।'
বেনাপোল-পেট্রাপোল হয়ে প্রতিদিনই ৮-১০টি অক্সিজেনের ট্যাঙ্কার বাংলাদেশে যাচ্ছে। কিন্তু তা বাংলাদেশের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট নয় বলে তিনি জানান। তাই ভারত অতিরিক্ত অক্সিজেন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই শনিবার একটা রেকে অর্থাৎ রেলের মাধ্যমে, ওয়াগনে চাপিয়ে এই অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠানো হয়। সড়কপথ বাদ দিয়ে এই প্রথম রেলপথে ভারত থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার বাংলাদেশে পাঠানো হল বলে জমা গিয়েছে। ক্লিয়ারিং এজেন্ট জানান, করোনা রুখতে বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছের দেশ ভারত৷ আজ প্রথম একটি ট্রেনে ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন বাংলাদেশে গিয়েছে।
করোনা আবহে এর আগে ভারত সরকার বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিয়ে সহযোগিতা করেছিল। উল্টোদিকে মোদি এবং মমতাকে বাংলাদেশের বিখ্যাত হাড়িভাঙা আম পাঠিয়েছিলেন হাসিনা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন