সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে চিঠি লিখে বার্তা পাঠানো এখন ইতিহাস। কিন্তু এখনও প্রায় জনশূন্য বরফে মোড়া অ্যান্টার্কটিকায় গবেষণারত বিজ্ঞানীরা চিঠি লেখাতেই বিশ্বাসী। তাঁদের মতে, চিঠি সারাজীবন স্মৃতি হিসাবে থাকে। আর সেই ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে অ্যান্টার্কটিকায় খোলা হল ভারতীয় পোষ্ট অফিসের তৃতীয় শাখা।
গত ৫ এপ্রিল ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশেন রিসার্চের ২৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে মহারাষ্ট্র সার্কেলের প্রধান পোস্টমাস্টার জেনারেল কে কে শর্মা এই নতুন পোস্ট অফিস উদ্বোধন করেন। অ্যান্টার্কটিকায় এই নতুন পোষ্ট অফিসটির নাম রাখা হয়েছে ‘গঙ্গোত্রী’। পিনকোড রাখা হয়েছে 'এমএইচ ১৭১৮'। অ্যান্টার্কটিকা পোস্টাল স্ট্যাম্প সহকারে ভারতে আসবে চিঠিগুলো৷ পিনকোড থাকবে গোয়ার।
উল্লেখ্য, জনশূন্য বরফে মোড়া অ্যান্টার্কটিকায় গবেষণা করেন ভারতের প্রায় ৫০ থেকে ১০০ জন বিজ্ঞানী। অ্যান্টার্কটিকা অপারেশনের গ্রুপ ডিরেক্টর শৈলেন্দ্র সাইনি বলেন, “আমাদের বিজ্ঞানীরা সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত, তবুও তাঁরা অক্ষরের মাধ্যমে নিজেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে পছন্দ করেন। তাই তাঁরা এই তৃতীয় ডাকঘরের মাধ্যমে বছরে একবার সমস্ত চিঠি সংগ্রহ করে গোয়ার সদর দফতরে পাঠাতে চান। পোস্ট অফিসে গোয়ার ডোনা পাওলার পিনকোড রয়েছে। এই দফতরে চিঠি এসে পৌঁছোলে সেখান থেকে চিঠিগুলো বিজ্ঞানীদের পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।“
কে কে শর্মা এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এবং ভারতীয় বিজ্ঞানীদের কাছে তাঁদের পরিবার এবং বন্ধুদের চিঠি লেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহও দেন।
অ্যান্টার্কটিকায় প্রথম ডাকঘর খোলা হয় ১৯৮৪ সালে। এর নাম রাখা হয় 'দক্ষিণ গঙ্গোত্রী'। এক বছরে এই পোস্ট অফিসে প্রায় ১০ হাজার চিঠি এসেছে। দক্ষিণ গঙ্গোত্রী ১৯৮৮-৮৯ সালে বরফে ডুবে যাওয়ার পরে ডিকমিশন করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পোস্ট অফিস শাখা 'মৈত্রী' ১৯৯০ সালে অ্যান্টার্কটিকাতেই খোলা হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন