রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ‘মিত্র’ দেশ ভারত। ভারতের এই সিদ্ধান্তে বেশ অবাকই হয়েছে পশ্চিমারা। তবে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের মতে যুদ্ধ শুরু পর থেকেই ভারত নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল। তাই রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়ে কোনও ভুল কাজ করেনি।
রাজনীতিতে ‘কূটনীতি’ শব্দটির যথার্থ প্রয়োগ করল ভারত। আন্তর্জাতিক মহলে রাশিয়ার মিত্র দেশগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই রাশিয়া ও ভারতের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়। তা নিয়ে দ্বিমত নেই। ভারত অবশ্য প্রথম থেকেই যুদ্ধের বিরোধিতা করে এসেছে। এর আগেও বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছিলেন ভারত শান্তি চায়। ফের একবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দান করে সেটাই প্রমাণ করল।
তাহলে কি রাশিয়া-ভারতের সম্পর্কে চিড়? নাকি এর পেছনে নতুন কোনো সমীকরণ কাজ করছে? আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে বাণিজ্যিক লাভের দিক থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত তেলের দাম কি আরও কমাতে চাইছে ভারত? নাকি পশ্চিমাদের সাথে নয়া বাণিজ্যিক পরিকল্পনা চলছে ভারতীয় কূটনীতিবিদদের মস্তিষ্কে? এইসব প্রশ্নই এখন উঠে আসছে।
রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, নিরীহ মানুষের ওপর অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। বহু মানুষের প্রাণ চলে গেছে রাশিয়ান হামলায়। মানুষের পাশাপাশি ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিও নষ্ট হচ্ছে। আমরা এর বিরোধিতা করছি।
এর পাশাপাশি ১০ অক্টোবর জয়শঙ্কর বলেন, পশ্চিমারা প্রয়োজনের সময় ভারতকে সামরিক সাহায্য না দিয়ে প্রতিবেশী দেশে সামরিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সাহায্য করেছিল। একমাত্র দিল্লির পাশে ছিল মস্কো। আমরাও তাই রাশিয়াকে আমাদের প্রয়োজনে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন