শেষ হল ১২ বছরের শাসনকাল। ১২০ সদস্যের ইজরায়েলী সংসদ নেসেটের সদস্যদের ভোটে ক্ষমতা হারালেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু। ৬০-৫৯ ভোটে নেতানইয়াহুকে পরাজিত করে ক্ষমতায় এলেন উগ্র দক্ষিণপন্থী রাজনীতিক নাফতালি বেনেট। যিনি একসময় নেতানইয়াহুর সহকারী ছিলেন। এদিন সংসদের ভোটে একজন সদস্য ভোটদানে বিরত ছিলেন।
আগামী দু বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবার পর এদিনই শপথ নিয়েছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। তিনি আট দলের কোয়ালিশনের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। এই কোয়ালিশনের মূল নেতৃত্বে আছেন বেনেট এবং ইয়ার লাপিড। আপাতত লাপিড বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন এবং বেনেটের দু বছরের সময়সীমা শেষ হলে তিনি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন।
ইজরায়েলের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণ অনুসারে নেতানইয়াহু বর্তমান সরকারকে বিব্রত করার সবরকম চেষ্টা চালাবেন এবং দেশকে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করবেন। এদিনও সংসদের অধিবেশন চলাকালীন নেতানইয়াহুর সমর্থকরা বারবার নাফতালি বেনেটের বক্তব্যে বাধা সৃষ্টি করেন।
ইজরায়েলের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেনেট তাঁর প্ররোচনামূলক বক্তব্যের জন্য প্রসিদ্ধ। একইসঙ্গে প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে তাঁর চরমপন্থী অবস্থানের জন্যও তিনি পরিচিত। অতীতে তিনি গাজা সীমান্ত অঞ্চলে ‘শ্যুট টু কিল’ নীতিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
এক ছোটো ধর্মীয় সংগঠনের নেতা হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করে এখন তিনি ইজরায়েলের এক শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতা। বেনেটের বাবা ও মা ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ইজরায়েলে আসেন এবং ইজরায়েলী শহর হাইফাতে তাঁর জন্ম। যদিও তাঁর বেড়ে ওঠা এবং পড়াশুনো সবই আমেরিকায়। পরে ইজরায়েলে ফিরে এলেও ২০০০ সালে ফের তিনি আমেরিকায় চলে যান। এরপর ২০০৬ সালে আবার ইজরায়েলে ফিরে এসে নেতানইয়াহুর সহকারী হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন