ইতালিয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির পক্ষ থেকে সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৪ সালের বাজেটকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ধর্মঘটের পথে হাঁটতে চলেছে। শুক্রবার রোমের পিয়াজা দেল পোপোলেতে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ সরকার বিরোধী এই ধর্মঘট বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও মিলান এবং জেনোয়াতেও বিশাল সংখ্যায় সাধারণ মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভকারীদের ব্যানারে লেখা ছিল – ‘মেলোনি, দেশের মানুষ ক্ষুধার্ত’।
ইতালির শিক্ষক, স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মী, পরিবহন কর্মী, রেল কর্মী, ডাক বিভাগের কর্মীরা এই ধর্মঘটে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ধর্মঘটীদের মতে, প্রধানমন্ত্রী জিওরজিয়া মেলোনির বাজেট প্রস্তাবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং শিল্পক্ষেত্রের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
ইতালিয় লেবার ইউনিয়ন (UIL) এবং দ্য জেনারেল কনফেডারেশন অফ লেবার (CGIL), ইতালির দুই প্রধান জাতীয় শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে এই বিক্ষোভ হয়েছে। উল্লেখ্য, ইতালিয় সরকারের প্রস্তাবিত বাজেটে শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব না দেওয়া এবং অভিযোগের সমাধানের জন্য তাদের ধর্মঘট করার অধিকারকে সীমিত করার প্রস্তাবের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। জিংহুয়া সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
সিজিআইএল-এর সাধারণ সম্পাদক মাউরিজিও লালদিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, দেশের সরকার এবং মন্ত্রী সাধারণ মানুষের ধর্মঘটের অধিকার হরণ করতে চাইছে।
ইউনিয়নগুলির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে শুক্রবার রোমের পিয়াজা দেল পোপোলোতে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে বিক্ষোভে যোগ দেন। যদিও পুলিশ রিপোর্টে বলা হয়েছে "কমপক্ষে" ৫০ হাজার বিক্ষোভকারী এই বিক্ষোভে অংশ নেন।
শুক্রবারের ধর্মঘট সারা দিন ধরে চলার কথা থাকলেও, উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পরিকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রী মাত্তেও সালভিনির নিষেধাজ্ঞা জারির পরে চার ঘণ্টা সময়সীমায় নামিয়ে আনা হয়েছিল।
সালভিনি এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "আমি গর্বিত যে সরকার ধর্মঘটের সময় কমিয়ে নাগরিকদের অসুবিধা কমাতে পেরেছে।" যদিও সালভিনির এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব জানিয়েছেন ধর্মঘটে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে অংশ নিয়েছে এবং ধর্মঘটের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
ওইদিনের ধর্মঘটে পরিবহন ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়লেও পরিবহন মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে যে পরিবহনের ওপর ধর্মঘটের প্রভাব সীমিত ছিল। মন্ত্রকের বক্তব্য অনুসারে, বাস পরিষেবায় সামান্য প্রভাব পড়েছে এবং ট্রেন চলাচলে কোনও প্রভাব পড়েনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন